১৪ বছর পর ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে নেমেই প্রথম দিন দারুণ কাটালেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। গতকাল টনটনে শুরু হওয়া কাউন্টি ডিভিশন ওয়ানে সমারসেটের বিপক্ষে সারের হয়ে চার দিনের ম্যাচের প্রথম দিন ৩৩.৫ ওভার বোলিং করে ৭ মেডেনে ৯৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। তার বোলিং নৈপুন্যে প্রথমে ব্যাট করতে নামা সমারসেট ৯৫.৫ ওভারে ৩১৭ রানে অলআউট হয়। সমারসেটের ইনিংস শেষ হবার পর প্রথম দিনের খেলার ইতি ঘটে।
টনটনের কুপার অ্যাসোসিয়েটস কাউন্টি গ্রাউন্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় সমারসেট। প্রথম ১০ ওভারে ৩০ রানে ১ উইকেট হারায় সমারসেট। ইনিংসের ১১তম ওভারে প্রথম বোলিং আক্রমনে আসেন সাকিব। এরপর ইনিংসের ২৯ ওভার পর্যন্ত টানা ১০ ওভার বল করেন তিনি। এসময় ৩ মেডেনে ২৯ রান দিয়ে উইকেটশূণ্য ছিলেন সাকিব।
এরপর ইনিংসের ৩২তম ওভারে দ্বিতীয় স্পেল করতে আসেন সাকিব। ৬৬ ওভার পর্যন্ত টানা ১৮ ওভার বল হাতে আক্রমনে ছিলেন তিনি। এই স্পেলে ৪ মেডেনে ৫০ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন সাকিব। দ্বিতীয় স্পেলে নিজের ২২তম ওভারে সমারসেটের টম অ্যাবেলকে ব্যক্তিগত ৪৯ রানে বোল্ড করেন সাকিব।
৮৬তম ওভারে তৃতীয়বারের মত আক্রমনে আসেন সাকিব। এই স্পেলে ৫.৫ ওভার বল করে ১৮ রানে ৩ উইকেট নেন এই বাঁ-হাতি স্পিনার। এরমধ্যে নিজের ৩১তম ওভারে দুই উইকেট নেন সাকিব। সমরাসেটের কেসি অলড্রিজকে ১৫ রানে বোল্ড এবং ক্রেগ ওভারটন ৬ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। নিজের ৩৪তম ওভারের পঞ্চম বলে ব্রেট র্যান্ডেলকে ৩ রানে লেগ বিফোর আউট করে সমরাসেটের ইনিংস শেষ করেন সাকিব। ৯৫.৫ ওভারে ৩১৭ রানে গুটিয়ে যায় সমরাসেট। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৩২ রান করেন টম ব্যান্টন।
সারের হয়ে সফল বোলার ছিলেন সাকিব। ৯৭ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। এছাড়াও ১৭ ওভারে ৪১ রানে ৩ উইকেট নেন সারের পেসার ড্যানিয়েল ওরেল।
২০১০ সালে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে নামেন সাকিব। ঐ আসরে ওস্টারশায়ারের হয়ে ৮টি এবং পরের মৌসুমে একটি ম্যাচ খেলেন তিনি। প্রথম ৮ ম্যাচে ৩৫৮ রান ও ৩৫ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব।
এবার সারের হয়ে একটি ম্যাচই খেলবেন সাকিব। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড থেকে সরাসরি বাংলাদেশ দলে যোগ দিবেন সাকিব। টেস্টের পর ৬ অক্টোবর থেকে ভারতের সাথে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও খেলবে বাংলাদেশ। সম্প্রতি পাকিস্তানের মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছে টাইগাররা। পাকিস্তান সিরিজে ব্যাট হাতে ৩৮ রান এবং বোলিংয়ে ১৯২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। (বাসস)