অবশেষে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

ভারত সরকার প্রায় পাঁচ মাস ধরে বহাল থাকা নিষেধাজ্ঞা অবশেষে তুলে নিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার এ সিদ্ধান্তের কথা দেশটির গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এখন ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে আর কোনো বাধা থাকল না। তবে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানিকারকরা এ ব্যাপারে এখনও কোনো চিঠি পাননি বলে জানিয়েছেন। ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া ও দ্য ইকোনোমিক টাইমসের খবরে বলা হয়, বুধবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে আন্তমন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বলা হয় যে বিভিন্ন রাজ্যে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার পেঁয়াজের ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকরা খুশি। কিন্তু ন্যায্যদাম না পেয়ে ইতোমধ্যে কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। তাই কৃষকদের স্বার্থে এবং পেঁয়াজের দরপতন ঠেকাতে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে রপ্তানি জরুরি হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় রপ্তানি প্রক্রিয়া শুরুর জন্য অতিদ্রুত পদক্ষেপ নিতে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

দেশটির খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী রাম বিলাশ পাসোয়ান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তিনি এক টুইট বার্তায় বলেন, কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই মূলত পেঁয়াজ রপ্তানি করার বিষয়ে এ বৈঠক ডাকা হয়েছিল। অল্প সময়ের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। বৈঠকে তথ্য উপস্থাপন করে বলা হয়, গেল বছর রবি মৌসুমে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ২৮ লাখ মেট্রিক টন। আর এ বছর রবি মৌসুমে প্রায় ৪০ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদিত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এ উৎপাদন ৮৬-৮৭ লাখ মেট্রিক টনে গিয়ে পৌঁছাবে। এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন বলেন, ‘আমরা শুনেছি বুধবার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু আজ (বৃহস্পতিবার) বিকাল পর্যন্ত ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে কোনো চিঠি পাইনি। তাই সঠিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।’ উল্লেখ, অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট দেখিয়ে গেল বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এরপর থেকে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। সূত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/আখনূর রহমান