রমজানের প্রভাব

আকাশ ছুঁয়েছে সবজির দর

পবিত্র রমজানের শুরুতেই সব ধরণের সবজির দর আকাশ ছুয়েঁছে। সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে দর। ফলে অসন্তোষ আর অস্থিরতা দেখা গেছে ক্রেতাদের মাঝে। বিক্রেতারা বলছেন, রমজানের জন্যই দর কিছুটা বেড়েছে।

শুক্রবার (১৮ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে চড়া দরে বিক্রি হচ্ছে সব ধরণের সবজি।

এদিন প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। একই দরে বিক্রি হচ্ছে গাজর ও শসা। গত সপ্তাহেও বেগুন বিক্রি হয়েছিলো ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। আর গাজর এবং শসা বিক্রি হয়েছিলো ৫০ টাকায়।

কারওয়ান বাজার, খিলগাঁও, সেগুনবাগিচা, কাঠেরপুল এবং শান্তিনগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৫০টাকার নিচে কোন সবজিই বিক্রি হচ্ছেনা। প্রতি কেজি চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, বেগুন ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও বেশ কিছু দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। আর কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়।

দর বেড়েছে পাকা টমেটো ও করলার।  গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে টমেটো বিক্রি হলেও রমজানের প্রথম দিনই দর বেড়েছে। এদিন সবজিটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা টাকা দরে। আর করলার ৪৫-৫০ থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। বরবটি  আর ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। পটল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়।

দর বেড়েছে কাঁচামরিচেরও। গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও দর বেড়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে। ভারতীয় পেঁয়াজ  পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকায়।

দর বৃদ্ধির তালিকায় পিছিয়ে নেই সব ধরণের শাক।  গত সপ্তাহের তুলনায় আজ সব ধরণের শাকের দর বেড়েছে। এদিন লাল শাক, সবুজ ডাটা শাক, পাট শাক, কলমি শাক বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকা আটি, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৫-১০ টাকা আটি। আর ২০-২৫ টাকা আটি বিক্রি হওয়া পুইশাক ও লাউ শাক বেড়ে হয়েছে ৩০-৩৫ টাকা।

তবে মহল্লার মোড়ের সবজি বিক্রেতাদের কাছে সব ধরণের সবজির দর কিছুটা বেশি।

কারওয়ান বাজারের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ী আবুল হাশেম বলেন, ‘ভাই আমরা দর বাড়ার কী জানি? আড়তে দর বৃদ্ধি বলেই আমরাও একটু বেশি দরে সবজি বিক্রি করছি। রমজান আসায় দর কিছুটা বেড়েছে।

কাঠেরপুলের এক ব্যবসায়ী বলেন, সবজির সরবরাহ কিছুটা কম। এছাড়া আড়তেও দর বৃদ্ধি, তাই আমাদেরও একটু বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।

এ বাজারে সওদা নিতে এসেছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আজিজুল ইসলাম সাগর। তিনি বলেন, রোজার জন্যই সিন্ডিকেট করে অসাধু ব্যবসায়ীরা দর বাড়াচ্ছে। আমরা নিরুপায় হয়ে আছি। কিছুই করার নাই। এভাবেই আমাদের চলতে হবে।

তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগে যে দরে বাজার করেছি এ সপ্তাহে প্রায় তার দ্বিগুন দরে বাজার করতে হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের আর এক ব্যবসায়ী শরিফুল হাসান বলেন, রোজার কারণেই এখন সব ধরনের সবজির দর কিছুটা  বেড়েছে।

রাসেল/