আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে স্বাগতম

বিএনপির মহাসচিব এবং অন্য নেতারা আগামী নির্বাচনে অংশ স্বাগত জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব এবং অন্য নেতারা আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে বলে যে ঘোষণা দিয়েছেন- এ কারণে আমরা তাকে স্বাগত জানাই। আশা করি, বিএনপি এই ঘোষণায় অটল থাকবে। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বিতর্কের টেবিলে, রাজ পথে নয়। আন্দোলন মানেই গাড়ি ভাঙচুর বা রাজপথের আন্দোলন- এই সংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।

মঙ্গলবার ২৫ এপ্রিল দুপুরে গুলশানের একটি হোটেলে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত ‘ডেমোক্রেসি চ্যাম্পিয়ন : অ্যাচিভমেন্ট অব ডিপিআর অ্যান্ড অপরচুনিটি ফর এসপিএল’ শীর্ষক এক সেমিনারে অংশ নিয়ে ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমাদের সকলের সমন্বিত দায়িত্ব। এর জন্য একদিকে যেমন সরকারের দায়িত্ব আছে, তেমনি বিরোধী দলেরও দায়িত্ব আছে। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন করতে হবে। রাজনীতিকে রাজনৈতিক কর্মীদের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।

সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, একসময় বাংলাদেশের কথা উঠলেই বলা হতো বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ। কিন্তু এখন আর আমার সেই অবস্থায় নেই। ইতোমধ্যেই মাথাপিছু আয় ১৫ শ ডলার ছাড়িয়েছে। নেপালে ভূমিকম্পের পর ৩৫ হাজার মেট্রিকটন খাদ্য সহায়তা করেছে বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানের আয়োজক সংগঠন ডেমোক্রসি ইন্টারন্যাশনালের কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, এ দেশে তরুণ নেতৃত্ব, বিশেষ করে নারী নেতৃত্ব বিকাশে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল যে ভূমিকা রাখছে তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।

ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল রাজনৈতিক কর্মীদের প্রশিণ দিয়েছে, তাদের মধ্যে রাজনৈতিক সহাবস্থান এবং সহনশীলতা অনেক বেড়েছে। এটি দেশের জন্য খুব বেশি দরকার। আমরা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালকে ধন্যবাদ জানাই।

ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান এবং আওয়ামী লীগ-বিএনপি ও জাতীয় পার্টির শতাধিক তরুণ নেতা, যাদের অধিকাংশই নারী।

আজকেরবাজার: আরআর/ ২৫ এপ্রিল ২০১৭