আদালতের কাঠগড়ায় টিয়াপাখি

আদালতের কাঠগড়ায় আনা হল ১৩টি টিয়াপাখিকে। খবরটা অবাক করা হলেও ঘটনাটি সত্যি। কিন্তু টিয়াগুলি কি কোনও দোষ করেছিল যে তাদের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হল?‌ একেবারেই না। বরং তাদের যে পাচার করা হচ্ছিল অন্য দেশে সেইটা প্রমাণ করতেই এভাবে আদালতে হাজিরা নিরীহ পাখিগুলির। বুধবার দিল্লির একটি আদালতের কাঠগড়ায় খাঁচায় পুরে ওই ১৩টি টিয়াকে নিয়ে আসেন পুলিসকর্মীরা। সঙ্গে আনা হয় অভিযুক্ত পাচারকারী আনভারজন রাখমাজোনোভকে। উজবেকিস্তানের এই নাগরিককে ১৩টি টিয়া সহ বুধবার ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল সিআইএসএফ।

টিয়াগুলিকে জুতোর বাক্সে ভরে পাচারের চেষ্টা করছিল আনভারজন। পুলিসের দাবি, জেরায় সে স্বীকার করেছে, পুরনো দিল্লির এক পাখি বিক্রেতার কাছ থেকে টিয়াগুলিকে সে কিনেছিল পাচারের উদ্দেশ্যে। কারণ উজবেকিস্তানে টিয়া অমিল হওয়ায় সেখানে এই পাখির প্রচুর চাহিদা বলে জেরায় জানিয়েছে আনভারজন। টিয়াপাখিকে আদালতে পেশের কারণ হিসেবে শুল্ক দপ্তরের আইনজীবী পি সি শর্মা জানালেন, ‘‌আইন অনুযায়ী, মামলা উল্লেখ্য কোনও সম্পত্তি বা এমন কিছু যার সঙ্গে মামলার যোগাযোগ আছে, তা আদালতে পেশ করতেই হয়। এবং যেহেতু পাখিগুলি জীবন্ত সেহেতু সেগুলিকে আদালতে পেশ করতে হয়েছিল। পাচারকারী পাখিগুলি দেশের বাইরে পাচারের চেষ্টা করছিল। বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী, ভারতে টিয়া বিক্রি বেআইনি হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে শুল্ক দপ্তর।’‌ অভিযুক্ত আনভারজন জামিনের আবেদন জানালেও আদালত তা অগ্রাহ্য করে তাকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে। টিয়াগুলিকে ওখলা পাখিরালয়ে পাঠানোর লিখিত আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান