আফ্রিদি-রনির বোলিং তোপে বিধ্বস্ত রাজশাহী

শহীদ আফ্রিদি ও আবু হায়দার রনির বোলিং তোপে বিধ্বস্ত রাজশাহী। টস জিতে প্রথম ইনিংসে ঢাকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রাজশাহীর অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। ব্যাটিংয়ে নেমে তাণ্ডব চালায় এভিন লুইস ও কাইরন পোলার্ড। ৩৮ বলে ৬৪ রান করেন লুইস এবং ২৫ বলে ৫২ রান সংগ্রহ করেন পোলার্ড। তাদের ব্যাটিং তাণ্ডবে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০২ রানের টার্গেট দাঁড় করে ঢাকা ডাইনামাইট। সেই লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে আফ্রিদি ও রনির বোলিং তোপে বিধ্বস্ত হয়েছে রাজশাহী কিংস। ২০২ রান তাড়া করতে নেমে ১৩৩ রানেই গুড়িয়ে গেছে রাজশাহী। ফলে ৬৮ রানের লজ্জাজনক হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে রাজশাহী।

আজ শনিবার জয়ের লক্ষ্যে ওপেনিংয়ে নামে রাজশাহীর দুই ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক এবং রনি তালুকদার। তবে শুরুতে অঘটন ঘটিয়ে ফেরেন রনি। আবু হায়দার রনির এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে দলীয় ২ রানের মাথায় ফেরেন রনি তালুকদার।

রনি ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন সামিট প্যাটেল। তবে দলীয় ১১ রানের মাথায় ৮ বলে ব্যক্তিগত ৬ রান করে বিদায় হন প্যাটেল। আবু হায়দারের বলে আফ্রিদির হাতে ধরা পড়েন তিনি। শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রাজশাহী।

চাপ কাটিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে মুমিনুলকে সঙ্গ দিতে আসেন জাকির হোসেন। কিন্তু দলীয় ৬০ রান এবং ব্যক্তিগত ১৬ রানের মাথায় আফ্রিদির শিকার হন মুমিনুল।

মুমিনুল ফেরার পর ক্রিজে যোগ দেন মুশফিকুর রহিম। তবে দলের ৭১ রান এবং ব্যক্তিগত ৩৬ রানের মাথায় আফ্রিদির বল পোলার্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জাকির হোসেন।

এরপর চাপ কাটিয়ে লড়ার জন্য আসেন জেমস ফ্রাঙ্কলিন। কিন্তু তার সঙ্গে জুটি গড়া হল না মুশফিকের। দলীয় ৭২ রান এবং ব্যক্তিগত মাত্র ২ রানে আফ্রিদির শিকার হয়ে ফেরেন মুশফিক।

মুশফিক ফেরার পর ক্রিজে যোগ দেন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। তবে দলীয় সংগ্রহে মাত্র ৯ রান যোগ করেই সাকিবের শিকারে পরিণত হয়েছেন ফ্রাঙ্কলিন। এরপর স্যামিকে সঙ্গ দিতে আসেন মেহেদি হাসান মিরাজ। কিন্তু দলীয় ১২৪ রান এবং ব্যক্তিগত ১৫ রানের মাথায় সাকিবের শিকার হয়ে ফেরেন ড্যারেন স্যামি।

স্যামি ফিরে গেলে ক্রিজে যোগ দেন ফরহাদ রেজা। তবে দলীয় সংগ্রহে মাত্র ১০ রান যোগ করার পরই আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মিরাজ।এরপর ফরহাদ রেজাকে সঙ্গ দিতে আসেন হাবিবুর রহমান। তার সঙ্গে জুটি গড়ার আগেই দলীয় ১৩২ রান এবং নিজের মাত্র ৬ রানের মাথায় সাদ্দাম হোসেনের শিকার হয়ে ফেরেন ফরহাদ রেজা।

এরপর ক্রিজে আসেন হোসেন আলী। তবে মাত্র ১ রানের মাথা আবু হায়দার রনির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন হোসেন আলী। ফলে জয় থেকে ৬৮ রান পিছিয়ে থাকা অবস্থায় দশম উইকেটের পতন ঘটিয়ে লজ্জাজনক হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে রাজশাহী কিংস।

এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে সূচনাটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার এভিন লুইস এবং শহীদ আফ্রিদি। তবে ৮ বলে ব্যক্তিগত ১৫ রানের মাথায় মেহেদি হাসান মিরাজের শিকার হয়ে ফেরেন আফ্রিদি। এরপর ক্রিজে আসেন উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান জহুরুল হক। তবে তিনিও মিরাজের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন। দলীয় ৭৫ রান এবং ব্যক্তিগত ১৩ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন জহুরুল হক।

জহুরুল হক ফিরে গেলে লুইসকে সঙ্গে দিতে আসেন নাদিফ চৌধুরী। তবে দলীয় ৯৯ রান এবং ব্যক্তিগত ৬৪ রানে হোসেন আলীর বল মুমিনুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লুইস। এরপর ক্রিজে আসেন কুমার সাঙ্গাকারা। কিন্তু দলের সংগ্রহে মাত্র ৬ রান যোগ করার পরই হাবিবুর রহমানের শিকার হন নাদিফ চৌধুরী। এরপর ক্রিজে যোগ দেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

সাকিব সাঙ্গাকারার সঙ্গে জুটি গড়ে ১১ বলে মাত্র ১১ রান দলে যোগ করেই বিদায় হন। দলীয় ১২৪ রানের মাথায় সামিট প্যাটেলের বলে হাবিবুর রহমানের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন সাকিব।

এরপর সাঙ্গাকারাকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন কাইরন পোলার্ড। কিন্তু দলীয় ১৮৬ রান এবং ব্যক্তিগত ২৮ রানের মাথায় হোসেন আলীর বলে হাবিবুর রহমানের হাতে ধরা পড়েন সাঙ্গাকারা।

সাঙ্গাকারা ফেরার পর ক্রিজে আসে সুনিল নারিন। তবে দলীয় সংগ্রহে কোন রান যোগ করার আগেই হোসেন আলীর শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। আর পোলার্ড ২৫ বলে ব্যক্তিগত ৫২ রানে অপরাজিত থাকা অবস্থায়ই নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষ হয়ে যায়।
আজকের বাজার: সালি / ১৮ নভেম্বর ২০১৭