আবারও এশিয়া কাপ বাংলাদেশে?

২০১২, ২০১৪ সালের পর ২০১৬ সালে টানা তৃতীয়বারের মতো এশিয়ান অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মিলনমেলা ‘এশিয়া কাপ’ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে বাংলাদেশ। এবার টানা চতুর্থবারের মতো এশিয়া কাপ আয়োজনের হাতছানি বাংলাদেশের সামনে।

তবে এখনো নিশ্চিত নয় কিছু। ২০১৮ সালের আগষ্ট মাসে এশিয়ার দলগুলোর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপের পরবর্তী আসর। কোন দেশের মাটিতে বসবে আসরটি তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। ভারত এরই মধ্যে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এশিয়া কাপের আয়োজক হওয়ার তালিকা থেকে নাম সরিয়ে নিয়েছে।

এর ফলে বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকছে টানা চতুর্থবারের মতো এশিয়া কাপ আয়োজনের সুযোগ। যদিও বাংলাদেশের সাথে এ তালিকায় রয়েছে শ্রীলঙ্কার নামও। তবু বিগত তিন আসরে এসিসির কোষাগারে বিশাল অঙ্কের লাভ যুক্ত হওয়ায় পরবর্তী আসরটিও বাংলাদেশের মাটিতে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

সোমবার দুবাইয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের এক সভা অনুষ্ঠিত হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এ সভাতেই ঘোষণা আসবে পরবর্তী এশিয়া কাপের আয়োজকের নাম। সভার আগে অবশ্য যে খবর মিলছে তাতে জানা গেছে এসিসির অনেক কর্মকর্তাই চান বিগত আসরের মতো এবারের আসরটিও বাংলাদেশেই আয়োজন করা হোক।

আজ এক অনুষ্ঠানে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘২০১৮ সালে এশিয়া কাপের আয়োজক হিসেবে আমাদের আলোচনা এখনো অনানুষ্ঠানিক। এ বিষয়ে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রস্তাব দেইনি। এটা একেবারে প্রাথমিকভাবে আলোচনা।’

প্রসঙ্গত ২০১৮ এশিয়া কাপে অংশ নিতে পারে এশিয়ার ছয়টি দল। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সাথে প্রতিযোগিতাটিতে দেখা যেতে পারে আইসিসির এশিয়া অঞ্চলের সহযোগী দলগুলোর থেকে শীর্ষ থাকা কোন দলকে।

উল্লেখ্য ২০১২ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার পর ২০১৬ সালেও ফাইনালে খেলে বাংলাদেশ। তবে আগের মতো গত আসরেও রানার্স-আপ হয়েই শান্ত থাকতে হয় মাশরাফি-সাকিবদের। এশিয়া কাপের সবশেষ আসরটি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হলেও আসন্ন আসরটি হবে ৫০ ওভারের।
আজকের বাজার: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭