আবার শুরু দারাজের সেলার মৈত্রী প্রোগ্রাম

প্রথমবারের মতো ই-কমার্সে কার্যক্রম পরিচালিত করতে চাচ্ছেন, এমন আগ্রহী উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদান করতে যাচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ বাংলাদেশ। বৈশ্বিক মহামারী ব্যবসার সকল খাতকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, এর ফলে বেশিরভাগ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। বৈশ্বিক সঙ্কট চলাকালীন দারাজ বাংলাদেশ, মূলধনের পরিমাণ, পণ্য বা গ্রাহক সংখ্যা নির্বিশেষে এর প্রত্যেক নতুন সহযোগীর সর্বাধিক আয় এবং অনলাইন ব্যবসায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সকল সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই ‘সেলার মৈত্রী প্রোগ্রাম’ শুরু করতে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে বাজারে একটি মানবিক ও সময়োচিত উদাহরণ স্থাপন করছে দারাজ।

নতুন বিক্রেতাদের অনুপ্রাণিত করতে দারাজ দ্বিতীয়বারের মতো এই কার্যক্রম শুরু করেছে। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কা দেশে আঘাত হানার পর অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। বর্ধিত লকডাউনের কারণে অনেক ব্যবসায়ীর আয় অনেক হ্রাস পেয়েছে। এমন সঙ্কটাপন্ন পরিস্থিতিতে, দারাজ বিক্রেতাদের জন্য এই প্রয়োজনীয় কর্মসূচিটি শুরু করেছে, যেখানে উদ্যোক্তাদের বিশেষ কিছু সুবিধা প্রদান করা হবে। যার মধ্যে রয়েছে:

  • ০% কমিশন (ভেরিফিকেশনের পরে ৩০ দিনের জন্য)
  • সাপ্তাহিক পেমেন্ট
  • সাইন-আপের সময় বিনামূল্যে প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়াল প্রদান
  • নতুন বিক্রেতাদের জন্য ২৪ ঘণ্টার গ্যারান্টিসহ ভেরিফিকেশন (প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান সাপেক্ষে)

ক্যাম্পেইনটি চলতি বছরের ১ মে, ২০২১ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। ৩০ দিনের জন্য ০% কমিশন পেতে বিক্রেতাদের একটি ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ‘যারা অনিশ্চিয়তার এই পরিস্থিতির মাঝে নতুন অনলাইন ব্যবসা দাঁড় করাতে চাচ্ছেন, সেসব বিক্রেতাদের মাঝে আশার আলো জাগাতে আমাদের এই সেলার মৈত্রী প্রোগ্রাম। তাদের এ রূপান্তর সহজ ও কার্যক্ররী করে তুলতে আমরা সেলার মৈত্রী প্রোগ্রাম নিয়ে এসেছি। আমাদের লক্ষ্য জরুরি প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়ানো। আমরা আশা করছি, এই ক্যাম্পেইনের শেষে কমপক্ষে ৪৮,০০০ বিক্রেতা এর দ্বারা উপকৃত হবেন।’

বিগত বছর প্রতিষ্ঠানটি ৩০,০০০ এরও বেশি এসএমই’র পাশে দাঁড়িয়েছিল এবং উদ্যোক্তারা সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে সহায়তায় সেজন্য এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিল।