ইতিহাস বিকৃতির শাস্তি:আইনের প্রস্তাব সংসদে গৃহীত

গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকারীদের শাস্তির বিধান রেখে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী এ সংক্রান্ত প্রস্তাব আনলে আইনমন্ত্রী তা গ্রহণ করেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া সভাপতিত্ব করেন।

ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী তার প্রস্তাবে বলেন, ‘সংসদের অভিমত এই যে, গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকারীদের শাস্তির জন্য আইন প্রণয়ন করা হউক’। তার এ প্রস্তাবের উপরে ১০ জন সংসদ সদস্য সংশোধনী দেন। তবে আইনমন্ত্রী সংশোধনীগুলো গ্রহণ না করে মূল প্রস্তাব গ্রহণ করে বলেন, বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পীর প্রস্তাবটি আমরা গ্রহণ করলাম এবং ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকরণ অপরাধ আইন’ নামে একটি অনতিবলম্বে মন্ত্রিপরিষদে উঠবে।

তিনি বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক সত্য সম্পর্কে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস তাদের একটি সিদ্ধান্তে বলেছে, ‘গণহত্যা যদি অস্বীকার করা হয় তাহলে মানুষের স্বাধীন মতামতের রক্ষা করা হয় না’। সেই কারণেই আমি বলবো এই প্রস্তাবটি অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং তা গ্রহণ করা হোক। বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পীর প্রস্তাবটি আমরা গ্রহণ করলাম। এই সঙ্গে আমি একটা সুখবরও দিতে চাই। এই আইনের একটা খসড়া,..এই আইনটাকে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকরণ অপরাধ আইন’ নামে একটি আইনের খসড়া প্রস্তুত হয়ে গেছে। অনতিবলম্বে এটি মন্ত্রিপরিষদে উঠবে। ইনশাআল্লাহ এই সংসদের বয়সকালেই এইটা পাস হবে। সেই কারণেই মূল প্রস্তাবটি গ্রহণ করলাম। কিন্তু সংশোধনী যেখানে বলা আছে জরুরি ভিত্তিতে-অবিলম্বে এই কথার প্রয়োজন নাই। এগুলো গ্রহণ করতে পারলাম না।

প্রস্তাবের পক্ষে অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার (মহিলা আসন-২৭), নুরজাহান বেগম (মহিলা আসন-৪২), আবদুল মতিন (মৌলভীবাজার-২), গোলাম দস্তগীর গাজী (নারায়ণগঞ্জ-১), মামুনুর রশিদ কিরণ (নোয়াখালী-৩), বেগম আক্তার জাহান (মহিলা আসন-০৫), সিরাজুল ইসলাম মোল্লা (নরসিংদী-৩), শফিকুল ইসলাম শিমুল (নাটোর-২) বক্তব্য রাখেন।

ইতিহাস বিকৃতির শাস্তি:আইনের প্রস্তাব সংসদে গৃহীত