ইরাকে মার্কিন দূতাবাসে রকেট হামলা

ইরাকের রাজধানীতে মার্কিন দূতাবাসে রোববার তিন দফা রকেট হামলা হয়েছে। বিগত কয়েক মাসের মধ্যে এটি মার্কিন দূতাবাসে প্রথম সরাসরি হামলার ঘটনা। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মার্কিন দূতাবাস বা ইরাকে মার্কিন সামিরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট হামলার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সৃষ্ট ব্যাপক উত্তেজনার মধ্যেই এ হামলা হয়। কেউ এসব রকেট হামলার দায়িত্ব স্বীকার না করলেও ওয়াশিংটন এসব হামলার জন্য ইরাকে ইরান সমর্থিত সামরিক শাখাকে বারবার দায়ী করে আসছে।

নিরাপত্তা সূত্র জানায়, রোববার নৈশভোজের সময় একটি রকেট দূতাবাসের ক্যাফেটোরিয়ায় আঘাত হানে। তবে অপর দু’টি রকেট পাশ্ববর্তী এলাকায় পড়ে। ইরাকের সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেন, এতে কমপক্ষে একজন আহত হন। তবে এ আঘাত কতটা গুরুতর ছিল এবং ওই ব্যক্তি মার্কিন নাগরিক কিংবা দূতাবাসে কর্মরত ইরাকি স্টাফ তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

এ হামলার ব্যাপারে মন্তব্যের অনুরোধ জানালেও তাৎক্ষণিকভাবে মার্কিন দূতাবাসের কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর রোববার রাতে তাদের প্রতি কূটনৈতিক নিয়ম-নীতি পূরণে বাগদাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দেল মাহদি ও পার্লামেন্ট স্পিকার হালবুসি দু’জনেই এ রকেট হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এ ধরনের হামলা তাদের দেশকে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় ইরাকে চরম উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। ইরাকের উত্তরাঞ্চলে একটি সামরিক ঘাঁটিতে একই ধরনের হামলায় আমেরিকান এক ঠিকাদার নিহত হন। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে যুক্তরাষ্ট্র ইরান সমর্থিত একটি সামরিক শাখার ওপর হামলা চালায়। এ সামরিক শাখাটি কাতায়েব হিজবুল্লাহ নামে পরিচিত। এ পাল্টাপাল্টি হামলার এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে বাগদাদ বিমানবন্দরের বাইরে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। ইরান এ ড্রোন হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান