ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যার ঘটনা জো বাইডেনের কূটনৈতিক সংলাপ পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হবে

ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে ইরান, এতে কেবল এই অঞ্চলে তীব্র অস্থিরতা সৃষ্টি হবে না, এরফলে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পুনরায় সংলাপের পরিকল্পনা মারাত্মক জটিলতার মধ্যে পড়বে। শনিবার বিশ্লেষকরা এ কথা বলেন।
ইরান অভিযোগ করেছে, তাদের চিরশত্রু ইসরাইল ৫৯ বছরের মোহসেন ফখরিজাদেহকে হত্যার মাধ্যমে ‘বিশৃঙ্খলা’ বপন করার চেষ্টা করছে এবং জোড়ালোভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে মার্কিন আশীর্বাদ নিয়ে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
ওয়াশিংটন আনুষ্ঠানিকভাবে এই অভিযান সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেনি, ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় বলেছে, বন্দুকধারীরা তেহরানের বাইরে একটি সড়কে ফখরিজাদেহর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বিষয়ে অন্যের মন্তব্য পুনরায় টুইট করে বলেছেন, এই বিজ্ঞানী ‘বহু বছর ধরে ইসরাইলি গেেেয়ন্দা সংস্থা মোসাদের ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল।’
ইরানের সঙ্গে বহুজাতিক পরমাণু চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়ার পর থেকে ইরানের ওপর “সর্বাধিক চাপ” প্রয়োগের নীতি গ্রহন করেন এবং জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগ পর্যন্ত সেটিতে অব্যাহত থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি ব্যাক্ত করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও সম্প্রতি ইসরাইল সফর করেছেন, তিনি শুক্রবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে সহযোগিতার জন্য চীন ও রাশিয়ার কিছু কোম্পানির বিরুদ্ধে নতুন করে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।
আবুধাবিতে যাত্রাবিরতিকালে পম্পেও সফরসঙ্গী যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা রবিবার বলেন,“যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসন ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে” এবং “ তারা রাজনৈতিক চাপ অব্যাহত রাখবে।”