উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়তে আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই : কৃষিমন্ত্রী

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
আজ রোববার টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে বাঙালিরা যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সে ব্যবস্থা পাকিস্তানি শাসকেরা করে গিয়েছিলো। অবকাঠামোগত ধ্বংসযজ্ঞের পাশাপাশি এই জাতির অমূল্য সম্পদ বুদ্ধিজীবীদের তারা হত্যা করেছিলো। সে রকম একটি ভঙ্গুর অবস্থা থেকে জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার প্রসারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
রাষ্ট্রপতি এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদের পক্ষে কৃষিমন্ত্রী এই সমাবর্তনে সভাপতিত্ব ও ডিগ্রি প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন সিআরপি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক ভেলেরি অ্যান টেইলর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. ফরহাদ হোসেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বিগত ১৪ বছরে শিক্ষার মানোন্নয়ন, অবকাঠামো নির্মাণ, গবেষণায় উৎকর্ষ সাধনে বিশাল বিনিয়োগ করেছে ও শিক্ষাবান্ধব নানান পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে। শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধকরণে ব্যাপক হারে ফেলোশিপ প্রদান করা হচ্ছে।
ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্বে একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নে দক্ষ মানবসম্পদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। আমাদের মতো দেশে-যাদের প্রাকৃতিক সম্পদ খুব সীমিত, সেখানে দক্ষ মানবসম্পদ আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে বর্তমান সরকারও নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
খাদ্য নিরাপত্তার প্রসঙ্গে ড. রাজ্জাক বলেন, কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধ, অবরোধ-পাল্টা অবরোধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী ‘খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা’ বেড়েছে। বেড়েছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে এবং বহুমুখী দুর্যোগের মধ্যেও বিশ্বে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
এর আগে চ্যান্সেলরের পক্ষে কৃষিমন্ত্রী শোভাযাত্রায় অংশগ্রহন এবং সমাবর্তন উদ্বোধন করেন।