উপ-উপাচার্যকে হেনস্তার অভিযোগ অসত্য : বিএসএমএমইউ

 বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রে শুক্রবার প্রকাশিত এক সংবাদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এএসএম জাকারিয়া স্বপন বিএসএমএমইউ’র উপাচার্যের বিরুদ্ধে তাকে হেনস্তা করার যে অভিযোগ করেছেন সে অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ভিত্তিহীন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মর্যাদাহানিকর বলে দাবি করেছে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।

বিএসএমএমইউ’র রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার বিকেলে এ দাবি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক সংবাপত্রে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এএসএম জাকারিয়া স্বপন-এর উদ্বৃতি দিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, সে সংবাদের প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুষ্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল (১৯ জানুয়ারি) সকালে মাননীয় উপাচার্য-এর কার্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্যবৃন্দ, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও সম্মানিত কয়েকজন পরিচালক প্রাত্যহিক এক অনানুষ্ঠানিক সভায় মিলত হন। সভার একপর্যায়ে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এএসএম জাকারিয়া স্বপন সভায় উপস্থিত প্রক্টর ও পরিচালকবৃন্দের সভায় উপস্থিত থাকা নিয়ে আপত্তি তোলেন। এ নিয়ে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও প্রক্টরের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় এবং উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এ পর্যায়ে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেন এবং মাননীয় উপাচার্য-এর অনুরোধে সবাই শান্ত হন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পরবর্তীতে সবার উপস্থিতিতে আরও আধা ঘণ্টা সভা চলে। এখানে কোনো মারামারি বা হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি। মাননীয় উপাচার্য কর্তৃক সম্মানিত উপ-উপাচার্যকে (শিক্ষা) হেনস্তা করার প্রশ্নই উঠে না। এ ধরণের অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য এবং ভিত্তিহীন।

সভা শেষ হওয়ার পর উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) তার কয়েকজন অনুসারী চিকিৎসক নিয়ে বি. ব্লকের চার তলায় সম্মানিত প্রক্টরের অফিসে গিয়ে তাকে ডাকাডাকি করেন, হৈ চৈ করেন, গালিগালাজ করেন এবং দরজায় সজোরে ধাঁক্কা মারেন। সেখানে সম্মানিত প্রক্টরকে না পেয়ে সি. ব্লকের চার তলায় ইউরোলজি বিভাগে প্রক্টরের ক্লিনিক্যাল রুমে গিয়ে হৈ চৈ করেন, দরজায় লাথি মারেন এবং প্রক্টরকে খোঁজাখুঁজি করেন। এ খবর পেয়ে সম্মানিত প্রক্টর কয়েকজন সহকর্মীসহ মাননীয় উপাচার্য-এর কার্যালয়ে আসার জন্য প্রবেশ পথ পর্যন্ত পৌঁছলে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা)-এর অনুসারী ডা. বিজয় কুমার পালের নেতৃত্বে কিছু সংখ্যক চিকিৎসক সম্মানিত প্রক্টরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ শুরু করেন এবং প্রক্টরকে মারতে উদ্যত হন। এ সময় উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের লোকজন এগিয়ে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। তবে এখানেও কোনো হাতাহাতি বা মারধরের ঘটনা ঘটেনি।

পরবর্তীতে এ ঘটনার খবর পেয়ে আনসার ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হলে পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত হয়ে যায় এবং কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই অফিসকালীন সময় শেষ হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ছিলো গতকালের (১৯ জানুয়ারির) প্রকৃত ঘটনা। কিন্তু বিভিন্ন সংবাদপত্রে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এএসএম জাকারিয়া স্বপনের উদ্বৃতি দিয়ে মাননীয় উপাচার্যকে জড়িয়ে সম্পূর্ণ অসত্য ও ভিত্তিহীন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও অত্যন্ত মর্যাদাহানিকর সংবাদ বিভিন্ন সংবাদপত্রে পরিবেশন করা হয়।

এ অবস্থায় দেশের একমাত্র মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।

একই সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করে জাতির সামনে তুলে ধরার জন্য বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ অনুরোধ জানিয়েছে।