‘এনবিআরে জীবন নয়; হৃদয় দিতে হবে’

আজকের বাজার ডেস্ক: ‘আধুনিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো’র আওতায় ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এখানে দুনীর্তি, হয়রানির সুযোগ নেই। মননে ধারণ করতে হবে, হৃদয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গতিথ করতে হবে। এনবিআরে জীবন দিতে হবে না, কিন্তু হৃদয় দিতে হবে।

নতুন নিয়োগ পাওয়া ৩৪৩ জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার (এআরও) ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানের এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান এসব কথা বলেন।

নতুন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের জীবন দিতে হবে না, কিন্তু হৃদয় দিতে হবে। হৃদয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গতিথ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, যেকোনো ধরণের বিচ্যুতি অতলে তলিয়ে নেবে। যেখান থেকে ফিরে আসার সুযোগ নেই।

নজিবুর রহমান বলেন, সেবা ও উন্নয়নধর্মী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জনগণ এবং ব্যবসায়ীদের আস্থা অর্জন করেছে এনবিআর। এর মাধ্যমে কর সেবার চাহিদা বেড়েছে। এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন উপযুক্ত জনবল। এমন সময় আমাদের জনবল দিয়ে দেশের উন্নয়নকে গতিশীল করেছে পিএসসি।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের মূল ভিত্তি হলো অভ্যন্তরীণ সম্পদ সঞ্চালন। অভ্যন্তরীণ সম্পদ সঞ্চালনের জন্যও বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে রোল মডেল।

সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এনবিআর দেশের মানুষের কাছে সম্মানিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের মান সম্মান, ভাবমূর্তি উচ্চ থেকে আরও উচ্চতর দিকে নিয়ে যেতে হবে আপনাদের । আগামী দিনগুলো আপনাদের জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষার দিন।

তিনি বলেন, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অত্যন্ত স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনায় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সফল হয়ে আপনারা এখানে এসেছেন। আপনারা কখনো ভুল করতে পারেন না; ব্যর্থ হতে পারেন না। দায়িত্ব, কর্তব্য ও নিষ্ঠার মাধ্যমে তার প্রমাণ দেবেন।

মো. নজিবুর রহমান বলেন, ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে। উন্নত দেশ নির্মাণের লক্ষ্য অর্জনের সৈনিক হিসেবে কাজ করতে হবে আপনাদের।

তিনি আরও বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছর ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে এনবিআর। চলতি অর্থবছর লক্ষ্যমাত্রার প্রবৃদ্ধি হার অনেক বেশি দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় আছেন; বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন। কিন্তু সবার আস্থা অর্জন করেছে এনবিআর। এনবিআরের জন্য কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।

সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, লক্ষ্য অর্জনে নতুন মানদণ্ড তৈরি করেছে এনবিআর। এ মান অর্জনে উদর মস্তিষ্ক, হৃদয় দিয়ে দেশপ্রেম নিয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। আপনারা আমাদের আগামীর অর্জনের সেনানী। সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, মাথা, হৃদয় আর পেটের সমন্বয়ে কাজ করতে হবে। ছোট্ট যে মানুষটি ভালো ভাবে তিন বেলা খেতে পারেন না, অথচ কর দিচ্ছেন তার কথাও ভাবতে হবে। দেশকে ভালোবাসে তিনি কর দিয়েছেন। সবাই কর দিতে চায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক। স্বাগত ও দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন এনবিআর সদস্য (শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন) মো. রেজাউল হাসান।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/২৪এপ্রিল,২০১৭