এপিএ’র মাধ্যমে গতিশীল হয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অনন্য উদ্যোগ। এর মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের বার্ষিক কর্মসম্পাদন কার্যক্রম গতিশীল হয়েছে। কর্মসম্পাদনের হার বেড়েছে এবং কাজকর্মে স্বচ্ছতা বেড়েছে।

আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মন্ত্রণালয়াধীন সংস্থা প্রধানগণের মধ্যে ২০২০-২১ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং ২০১৯-২০ অর্থ বছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের অয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আনোয়ার হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বার্ষিক কর্মসম্পাদনে সবসময়ই এগিয়ে ছিল। আগামী অর্থবছরেও সে সাফল্য অব্যাহত থাকবে। সেই সাথে সম্পাদিত চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য তিনি অনুরোধ জানান এবং করোনাকালীন সকলের নিরাপত্তা বজায় রেখে দাপ্তরিক কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পাদনের নির্দেশনা দেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ৮টি সংস্থা প্রধানদের উপস্থিতিতে ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সংস্থার পক্ষ থেকে স্ব স্ব সংস্থা প্রধান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন এবং সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র সচিব মো. আনোয়ার হোসেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এছাড়া, ২০১৯-২০ শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা সংস্থার মধ্য হতে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী এবং মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শিশির কুমার দাস ও অফিস সহায়ক সাবিহা চৌধুরীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার স্বরূপ তাদেরকে এক মাসের মূল বেতন, সম্মাননা স্মারক ও সনদ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয়াধীন সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ উপস্থিত ছিলেন। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান