দেশের বেশিরভাগ এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে তিন দিন ধরে। কখনো মূষলধারে কখনো টিপটিপ করে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলতি বছরে এপ্রিল মাসে গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে।
২৩শে এপ্রিল পর্যন্ত ১১৯ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। মাসের বাকি সময়টা আর বৃষ্টি না হলেও স্বাভাবিকের তুলনায় এমাসে ৬৮ শতাংশ বেশি বৃষ্টি থাকবে।
বাংলাদেশে এপ্রিলে এর চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছিল সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে। সেটি ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ৭৬ শতাংশ বেশি। আর ১৯৮১ সালের এপ্রিলে স্বাভাবিকের তুলনায় ১৬৮ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছিল।
উল্লেখ, বাংলাদেশে এপ্রিল মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৫.২৮৬ মিলিমিটার।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বিবিসি বাংলাকে জানান, সোমবার থেকে বাংলাদেশের অনেক এলাকায়, বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি কমে যাবে বলে তারা আশা করছেন। তবে সিলেটসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি কমতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে।
বাংলা বৈশাখ মাসের এ সময়টাতে যখন খটখটে রোদ থাকার কথা, সেখানে গত কয়েকদিন দেশব্যাপী অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত অনেককেই অবাক করেছে।বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে বড় দুর্ভোগে পড়েছে হাওরাঞ্চলে মাসের শুরু থেকেই আকস্মিক বন্যার শিকার মানুষেরা।
এছাড়াও চট্টগ্রাম শহরে প্রবল বর্ষণ এবং অপর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার কারণে অনেক রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। রাজধানী ঢাকায়ও সাময়িকভাবে ডুবে গেছে বেশ কিছু রাস্তা।
হঠাৎ এই অস্বাভাবিক বৃষ্টির কারণ ব্যখ্যা করতে গিয়ে রশিদ বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পশ্চিমা লঘুচাপ দীর্ঘদিন যাবত সক্রিয় থাকায় অসময়ে বৃষ্টিপাত এবার বেশি হচ্ছে।
তিনি বলেন, গতমাসেও বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ছিল।
গত প্রায় ৩৭ বছরে আট বার এপ্রিল মাসে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজকের বাজার: ডিএইচ
