এফবিসিসিআই নির্বাচন : সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে প্যানেল ঘোষণা

বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সভাপতি পদের প্রার্থী সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে ৩৬ জন প্রার্থীর একটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। সংগঠনের পরিচালক পদে ভোট হবে তার সবগুলোতে প্রার্থী দিয়েছে এ প্যানেল।
রাজধানীর মতিঝিলে পূর্বাণী হোটেলে বৃহস্পতিবার এ প্যানেল ঘোষণা করা হয়। প্যানেল সভাপতি প্রার্থী সফিউল ইসলাম ও শীর্ষ পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যাওয়া প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিনের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে সম্মিলিত গণতান্ত্রিক পরিষদ নামে এ প্যানেল গঠন হয়েছে। সভাপতি পদে সফিউল ইসলামের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অন্যদিকে গণতান্ত্রিক পরিষদের বিপরীতে এখনো কোনো প্যানেল ঘোষণা হয়নি।
এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠিত হবে। সংগঠনটির মোট ৬০টি পরিচালক পদের ৩৬টিতে প্রার্থীরা ভোটারদের ভোটে পরিচালক নির্বাচিত হবেন। আর ২৪টি পদে বড় ব্যবসায়ী সংগঠন থেকে পরিচালক মনোনয়ন দেওয়া হবে। পরিচালকদের ভোটে সভাপতি ও দুই সহসভাপতি নির্বাচিত হবেন।
সফিউল ইসলামের নেতৃত্বে প্যানেল ঘোষণা অনুষ্ঠানে জসিম উদ্দিন ছাড়াও সমঝোতা প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আনিসুল হক, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বেসরকারি খাত-বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, মীর নাসির হোসেন, এ কে আজাদ এবং সাবেক বেশ কয়েকজন সহসভাপতি উপস্থিত ছিলেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘এ প্যানেল গঠনে আমরা সবাই মিলে সহযোগিতা করেছি। গঠনের সময় অনেক মতের মিল-অমিল হয়েছে। তবে এখন সবাই মিলে একমত হয়েই প্যানেল ঘোষণা করছি।’
এ প্যানেলের সব প্রার্থীর জন্য ভোট চেয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, এবার সরাসরি ভোটের একটি দাবি ছিল। সে অনুযায়ী সংস্কার প্রস্তাবও তৈরি করা হয়েছিল। তবে সরকার বলেছে, এবার নির্বাচনের আগে সংস্কার সম্ভব নয়। নির্বাচনটি হয়ে যাওয়ার পরই সংস্কার হবে। তিনি সফিউল ইসলামকে সভাপতি নির্বাচিত হলে দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম শুরুর প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেন।
এ কে আজাদ বলেন, ‘এ প্যানেল ঠিক করার ক্ষেত্রে নানা বিবেচনা কাজ করেছে। প্যানেলের সবাই যে সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী, তা আমি মনে করি না। এর বাইরেও অনেক যোগ্য প্রার্থী থাকতে পারেন। তাঁরা সবাই যে যার মতো নির্বাচন করবেন।’
এদিকে বৃহষ্পতিবার পরিচালক পদে নির্বাচনের ক্ষেত্রে ৭৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচনী বোর্ড। তিনজন ব্যবসায়ীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। তাঁরা হলেন অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের আমিন হেলালী ও তাহের আহমেদ সিদ্দিকী এবং চেম্বার গ্রুপের ফাতেমা জহুরা আক্তার।
গণতান্ত্রিক পরিষদ প্যানেলের চেম্বার গ্রুপের প্রার্থীরা হলেন হাসিনা নেওয়াজ, মো. নিজাম উদ্দিন, আজিজুল হক, দিলীপ কুমার আগারওয়ালা, মাসুদ পারভেজ খান, এ কে এম শাহেদ রেজা, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, শেখ ফজলে ফাহিম, মো. রেজাউল করিম রেজনু, গাজী গোলাম আসরিয়া, শেখ আবদুল হামিদ, তাবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান, মো. কোহিনুর ইসলাম, প্রবীর কুমার সাহা, মো. আতাউর রহমান ভূঁইয়া, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, খায়রুল হুদা চপল ও আবুল কাশেম আহমেদ।
অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে এ প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন খন্দকার মইনুর রহমান, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, সাফকাত হায়দার, আবুল আয়েছ খান, মো. মুনতাকিম আশরাফ, নিজাম উদ্দিন আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, আমজাদ হোসেন, মো. শফিকুল ইসলাম ভরসা, আবু মোতালেব, মো. হাবিব উল্লাহ ডন, খন্দকার রুহুল আমিন, নিজামউদ্দিন রাজেশ, আবদুল হক, হাফেজ হারুন, শমী কায়সার, আবু নাসের ও রাশেদুল হোসেন চৌধুরী।
প্যানেল নেতা সফিউল ইসলাম সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, এফবিসিসিআই ঐক্যবদ্ধ থাকলে অনেক কিছুই করা সম্ভব।

আজকের বাজার ডেস্ক/ডিএইচ/আরআর