এফ এ কাপে চেলসিকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করল ম্যানসিটি

রিয়াদ মাহরেজের নৈপুন্যে গতকাল এফএ কাপে চেলসিকে বিধ্বস্ত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে গ্রাহাম পটারের দলকে ৪-০ গোলে হারায় পেপ গাদিওলার শিষ্যরা। একই রাতে অ্যাস্টন ভিলাকে ২-১ গোলে হারিয়ে আপসেটের জন্ম দিয়েছে চতুর্থ বিভাগের ক্লাব স্টেভেনাজ।

এর আগে নিচের বিভাগের ক্লাবের কাছে হেরে এফএ কাপ থেকে ছিটকে গেছে প্রিমিয়ার লীগের ক্লাব নিউক্যাসল, নটিংহ্যাম ফরেস্ট ও বোর্নমাউথ। নতুন করে ওই তালিকায় যুক্ত হলো অ্যাস্টন ভিলা। ম্যাচের শেষভাগে দুই গোল করেছে স্টেভেনাজ।

আগের ম্যাচেই গত বৃহস্পতিবার প্রিমিয়ার লিগে চেলসিকে ১-০ গোলে পরাজিত করেছিল লিগ চ্যাম্পিয়নরা। ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে রোববার এফএ কাপে একই দলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে দলে ৭টি পরিবর্তন আনেন কোচ পেপ গার্দিওলা। তবে দলকে কোন রকম বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়নি। বরং শুরু থেকেই নিজেদের শক্তিমত্তার মহড়া দিয়েছে স্বাগতিকরা।

ম্যাচে জোড়া গোল করেন রিয়াদ মাহরেজ। ফ্রি কিক থেকে একটি গোল করার পর তিনি নিজের দ্বিতীয় গোল করেছেন পেনাল্টি থেকে। সিটির হয়ে বাকী গোল দুটি করেছেন জুলিয়ান আলভারেজ ও ফিল ফোডেন।

চতুর্থ রাউন্ডে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ পয়েন্টধারী আর্সেনাল অথবা তৃতীয় বিভাগের ক্লাব অক্সফোর্ডকে আতিথেয়তা দিবে সিটিজেনরা। গতকালের এই পরাজয়ে এফএ কাপের তৃতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হলো চেলসিকে। ১৯৯৮ সালের পর এই প্রথম এমন ভরাডুবি হলো দলটির। এতে বেশ চাপের মধ্যেই পড়ে গেছে চার মাস আগে চেলসির প্রধান কোচের দায়িত্ব নেয়া পটার। থমাস টাচেলের জায়গায় ব্রাইটন থেকে এসে হাল ধরেছিলেন তিনি। তবে দলের এমন বাজে পাফর্মেন্সে রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে ৪৭ বছর বয়সি এই কোচের।

সব ধরনের প্রতিযোগিতায় সর্বশেষ ১২ টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুটিতে জয়ের দেখা পেয়েছে উত্তর লন্ডনের এই ক্লাবটি। বর্তমানে প্রিমিয়ার লিগে পয়েন্ট তালিকার দশম স্থানে রয়েছে ক্লাবটি। শীর্ষ চারের চেয়ে ১০ পয়েন্টে পিছিয়ে আছে আমেরিকান মালিকানায় আসা ক্লাবটি।

খেলা শেষে পটার বলেন,‘ স্বল্প সময়ের ব্যবধানে এমন ফলাফল কখনো ইতিবাচক হতে পারে না। আপনি হয়তো অজুহাত খুঁজতে পারেন, কারণ দেখাতে পারেন অথবা বলতে পারেন যে সিটি খুবই ভালো দল। তবে দুটি উত্তরই সঠিক। আমাদের উন্নতি করতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কারণ ক্লাব হিসেবে আমাদের ধুকতে হচ্ছে। এটি মোটেও ভালো কিছু নয়।’ খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান