এবার চন্দ্র প্রদক্ষিণ করবেন জাপানি ব্যবসায়ীরা

চাঁদকে প্রদক্ষিণ করতে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত প্রথম পর্যটকের নাম মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে উদ্ভাবক ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেস-এক্স।

জাপানের বিলিয়নিয়ার এবং অনলাইন ফ্যাশন উদ্যোক্তা ইয়ুসাকু মেজাওয়া (৪২) জানান, ‘আমি চাঁদে ঘুরতে যাব বলে ঠিক করেছি।’

২০২৩ সালে তারা ওই সফরে যাবেন বলে পরিকল্পনা রয়েছে। ১৯৭২ সালের পর সেটাই হবে মানুষের প্রথম চাঁদে যাওয়া।

তবে এর জন্য যে রকেটটি ব্যবহার করা হবে তা এখনও বানানো হয়নি। আবার মাস্কও সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘এটা উড়ানো যাবে কিনা সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই।’

মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়ায় স্পেস-এক্সের হেডকোয়ার্টারে একটি অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেয়া হয়। এতে বলা হয়, এই মহাকাশ যাত্রায় যে বিগ ফ্যাল্কন রকেট (বিএফআর) ব্যবহার হবে।

বিএফআরে চড়ে মহাশূন্যে যাওয়া সম্পর্কে মাস্ক বলেন, ‘যেসব সাধারণ মানুষ মহাকাশে ভ্রমণের স্বপ্ন দেখেন তাদের মহাকাশ যাত্রার জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।’

মেজাওয়া গত বছর ১১ কোটি ডলার দিয়ে জাঁ-মিশেল বাস্কিয়ার আঁকা একটি ছবি কিনে নিয়ে সংবাদের শিরোনামে আসেন।

শিল্পানুরাগী মেজাওয়া জানান, তিনি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার ছয় থেকে আট জন শিল্পীকে তার সঙ্গে চাঁদের চারপাশে উড়ে বেড়াবার আমন্ত্রণ জানাবেন।

‘পৃথিবীতে ফিরে আসার পর তাদেরকে কিছু শিল্পকর্ম তৈরি করতে বলা হবে। এসব মাস্টারপিস আমাদের ভিতরের শিল্পীকে জাগিয়ে তুলবে,’ সাংবাদিকদের বলে তিনি।

এখন পর্যন্ত মাত্র ২৪ জন মানুষ চাঁদে গিয়েছেন এবং তাদের সবাই আমেরিকান। এদের মধ্যে ১২ জন চাঁদে অবতরণ করেন।

ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে নাসার অ্যাপোলো ১৭ অভিযানে শেষবার কোনো মানুষ পৃথিবীর কক্ষপথ ছাড়িয়ে যান বা চাঁদে অবতরণ করেন।

মেজাওয়া চন্দ্রপৃষ্ঠে নামবেন না। তাকে বহন করা বিএফআর নভোযানটি চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবে।

ইলন মাস্ক গতবছর প্রথমবার চাঁদকে প্রদক্ষিণ করতে দু’জন সাধারণ যাত্রীকে মহাকাশে পাঠানোর ঘোষণা দেন।

তখন ফ্যাল্কন হেভি রকেটে এই অভিযানের পরিকল্পনা করছিল স্পেস-এক্স। কিন্তু এবছরের ফেব্রুয়ারিতে মাস্ক জানান, তার প্রতিষ্ঠান মহাকাশে মানুষ পাঠানোর জন্য বিএফআর তৈরির ওপর জোর দিবে।

আজকের বাজার/এএল