এমপি পাপুলের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১০ মার্চ

মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েতে সাজাপ্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১০ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন। পাপুল ও তার পরিবারের সদস্যের ব্যাংক হিসাব তদন্ত করে মোট ৩৫৫ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জমা থাকায় মানি লন্ডারিং আইনে ২২ ডিসেম্বর পল্টন থানায় এ মামলা করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন, কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল, মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির (পাপুলের ব্যক্তিগত কর্মচারি), জেসমিন প্রধান (পাপুলের শ্যালিকা), ওয়াফা ইসলাম (পাপুলের মেয়ে), কাজী বদরুল আলম লিটন (পাপুলের ভাই), গোলাম মোস্তফা (মানবপাচারে সংশ্লিষ্ট জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার)।

এ ছাড়া মামলায় দু’টি প্রতিষ্ঠানকে আসামি করা হয়েছে। সেগুলো হলো-জে. ডব্লিউ লীলাবালী ও জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল। জে. ডব্লিউ লীলাবালীর প্রোপ্রাইটার পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটার পাপুলের ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন।

আসামিরা মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। তারা বিভিন্ন সময়ে ৩৮ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ টাকা অবৈধভাবে আয় করেছেন। যার সঙ্গে পাপুল ও তার মেয়ের প্রতিষ্ঠান জড়িত বলে অভিযোগ থেকে জানা যায়। তথ‌্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান