এমপি লিটন হত্যা – কাদের খান ফের একদিনের রিমান্ডে

গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের সরকারদলীয় এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী কর্নেল (অব.) ডা. আবদুল কাদের খানকে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অধিকতর তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সুন্দরগঞ্জ) বিচারক মো. মইনুল হাসান ইউসুব রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খায়রুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডে তিনটি অস্ত্র ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে কাদের খান একটি অস্ত্র স্বেচ্ছায় থানায় জমা দেন। এ ছাড়া তার দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী, আরও একটি অস্ত্র বাড়ির উঠানের গর্ত থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ থানায় কাদের খানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ ও আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে কাদের খান অপর একটি অস্ত্র ও অস্ত্রের উৎস সম্পর্কেও কিছু জানাননি।

তিনি আরও জানান, একটি অস্ত্র উদ্ধার ও অস্ত্রের উৎস সম্পর্কে জানতে কাদের খানকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে বিচারক শুনানি শেষে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বগুড়া জেলা শহরের কাদের খানের পরিচালিত গরীব শাহ ক্লিনিক থেকে তাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে ২২ ফেব্রুয়ারি লিটন হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। একই আদালতের বিচারক শুনানি শেষে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে রিমান্ডের চতুর্থ দিনের মাথায় কাদের খান আদালতে ১৬৪ ধারায় লিটন হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এরপর থেকে কাদের খান গাইবান্ধা কারাগারে ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ (মাস্টাপাড়া) এলাকায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে ১ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ পর্যন্ত পুলিশ লিটন হত্যার ঘটনায় কাদের খান, চার কিলার, তিন সহযোগী ছাড়াও ২৮ জনকে গ্রেফতার করেছে।