এসিআই মটরস্ বাংলাদেশে নিয়ে এলো ব্র্যান্ড নিউ ফোটন অ্যাম্বুলেন্স

এসিআই মটরস্ বাংলাদেশে ফোটন ইন্টারন্যাশনাল থেকে নতুন অ্যাম্বুলেন্স বাজারজাত করা শুরু করেছে। অ্যাম্বুলেন্সটি ফ্যাক্টরিতে সম্পূর্ণ তৈরী ও ফিটিংস সহ আমদানি করা হয়। রোগী এবং ড্রাইভার উভয়ের আরাম নিশ্চিত করার জন্য অ্যাম্বুলেন্সটিতে অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা স্থানীয়ভাবে মাইক্রোবাস থেকে পরিবর্তন করা অ্যাম্বুলেন্সে পাওয়া যায় না। রোগীদের সহজে পরিচালনার জন্য অ্যাম্বুলেন্সটিতে রয়েছে উঁচু ছাদ, পাশাপাশি চালক ও রোগীর নিরাপত্তার স্বার্থে উভয়ের জন্য রয়েছে আলাদা কেবিন। রোগীর স্বাচ্ছন্দ্ নিশ্চিত করার জন্য অ্যাম্বুলেন্সটিতে রোগীর কেবিনে রয়েছে ফোল্ডেবল স্ট্রেচার- যা শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি সহজেই পরিচালনা করতে পারেন। আরও রয়েছে অতিরিক্ত আরেকটি বহনযোগ্য স্ট্রেচার, সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনারের জন্য অল-রাউন্ড ভেন্ট, বিল্ট-ইন অক্সিজেন সিলিন্ডার, ওষুধের জন্য ক্যাবিনেট, প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্স, স্যালাইনের জন্য আলাদা চ্যানেল, অ্যাটেনডেন্ট এবং ডাক্তারের জন্য প্রশস্ত আসন ইত্যাদি। ড্রাইভার কেবিনে রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, উচ্চ প্রযুক্তির ড্যাশবোর্ড, পাওয়ার স্টিয়ারিং, অ্যাডজাস্টেবল সিট, স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানালা ও দরজার লক করার ব্যবস্থা, অ্যাম্বুলেন্স সাইরেন সহ অডিও-সিস্টেম ইত্যাদি। ড্রাইভার এবং রোগীর নিরাপত্তার জন্য অ্যাম্বুলেন্সটিতে অ্যান্টি-লক ব্রেকিং প্রযুক্তি রয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সটি ইসুজু প্রযুক্তির ২৭৭১ সিসি ডিজেল ইঞ্জিন ব্যবহার করে; যা নিশ্চিত করে অধিক মাইলেজ। এসিআই মটরস্ তাদের দেশব্যাপী বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের নেটওয়ার্ক দ্বারা এই অ্যাম্বুলেন্সটিতে ৬টি বিক্রয়োত্তর সেবা বিনামূল্যে প্রদান করবে এবং মোট ৩ বছর বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান করবে।

গত ২১শে এপ্রিল ২০২২ তারিখে, এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ডঃ আরিফ দৌলা, এসিআই মটরস্-এর প্রধান কার্যালয়, এসিআই সেন্টারে এই অ্যাম্বুলেন্সটি পরিদর্শন করেন। তার সাথে এসিআই মটরস্-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. এফ এইচ আনসারি, এসিআই লিমিটেড এর ফিন্যান্স ও প্ল্যানিং বিভাগের নির্বাহী পরিচালক জনাব প্রদীপ কর চৌধুরী, এসিআই মটরস্-এর নির্বাহী পরিচালক জনাব সুব্রত রঞ্জন দাস সহ এসিআই লিমিটেডের অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। দর্শনার্থীরা অ্যাম্বুলেন্সটির অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলো দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আশা করেন যে এই ধরনের উচ্চ প্রযুক্তির অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখবে।