করযোগ্য ব্যক্তির সংখ্যা ১ কোটি ১৬ লাখ

দেশে বর্তমানে আয়কর প্রদানে সক্ষম মানুষের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, এই বিপুল জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ করজালের বাইরে রয়েছে, তবে করজাল সম্প্রসারণে রাজস্ব প্রশাসন সারাদেশে কর অফিস বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত‘কাস্টমস্, ভ্যাট অ্যান্ড ইনকাম ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এ তথ্য জানান। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান
ও ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি আরমান হক বক্তব্য রাখেন।
মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, বর্তমানে দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ৮৩ লাখ, যদিও গত অর্থবছরে আয়কর রিটার্ন দাখিল হয়েছে মাত্র ২৫ লাখ ৩০ হাজার, বিষয়টি মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়। আয়কর রিটার্ন দাখিলের ব্যাপারে ব্যক্তি পর্যায়ে আরো উদ্যোগী হওয়া ও সচেতনতা বাড়ানোর উপর তিনি জোরারোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনায়নে এনবিআরের কার্যক্রমে ডিজিটাল ব্যবস্থা চালুর উপর বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, এর ফলে জনগনের ভোগান্তি কমবে এবং রাজস্ব আহরণের হার বৃদ্ধি পাবে।
স্বাগত বক্তব্যে রিজওয়ান রাহমান বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে করজাল বৃদ্ধির জন্য ৩৮টি ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা, ভ্যাটের কেন্দ্রীয় নিবন্ধন বাধ্যতামূলক, স্থানীয় পর্যায়ে কেমিক্যাল উৎপাদন ৬ শতাংশ ভ্যাট ছাড়, মূসক ফরম-এ পরিবর্তন এবং কম্পিউটার যন্ত্রাংশ আমদানিতে ভ্যাট বৃদ্ধিসহ বেশকিছু পরিবর্তন করা হয়েছে এবং এ ধরনের পরিবর্তন সম্পর্কে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে অবশ্যই অবগত থাকতে হবে।
কর্মশালায় ডিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে ‘ট্যাক্স গাইড ২০২২-২৩’ প্রকাশ করা হয়। বইটিতে আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস আইনের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।
কর্মশালায় দু’টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসিসিআই কাস্টমস্, ভ্যাট অ্যান্ড এনবিআর বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির উপদেষ্টা স্নেহাশিষ বড়ুয়া এবং যুগ্ম-আহ্বায়ক এমবিএম লুৎফুল হাদী।