করোনাভাইরাস: দেশে নমুনা পরীক্ষা ২০ লাখ ছাড়াল

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১০৯টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১১ হাজার ৮০৯টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৭৬৭টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২০ লাখ ১ হাজার ৪৩১টি।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ৩৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া, নতুন করে ১ হাজার ৪৪২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ১৩২ জনে।

এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২.২৫ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৮.৪৯ শতাংশ।

নতুন যে ২৭ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৭ এবং নারী ১০ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ১৫৫ জন বা ৭৭.৩০ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ২২০ জন বা ২২.৭০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪৫ শতাংশ।

করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৫২৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ১৮২ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭৬.৫১ শতাংশ।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

বিশ্ব পরিস্থিতি

জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার ২১৮ জনে পৌঁছেছে।

জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৮১৮ জন।

এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৪৪ লাখের বেশি মানুষ।

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৭৪ লাখের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২ লাখ ৯ হাজার ৮১০ জনে। সুস্থ হয়েছেন ২৮ লাখেরও বেশি মানুষ।

সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা ৬৫ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন এক লাখ ৭৮২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৫৪ লাখের বেশি মানুষ।

ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ লাখের বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ। সুস্থ হয়েছেন ৪৩ লাখের বেশি রোগী।