চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের চেয়ে গতকাল সুস্থের সংখ্যা বেশি হয়েছে। নতুন সংক্রমিত হন ৭৭ জন এবং সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন ৮৭ জন। এ সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টের তথ্যে জানা যায়, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ৮টি ল্যাবে মঙ্গলবার ১ হাজার ৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের ৬৪ জন ও গ্রামের ১৩ জনের নতুন সংক্রমণ ধরা পড়ে।
সংক্রমণ হার ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এখন ১৮ হাজার ৪৫৪ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, এদিন সবচেয়ে বেশি ৪২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে। এখানে ২৬ জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩০৩টি নমুনার ১৩ টিতে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ জনকে পজিটিভ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৭২ জনের নমুনার মধ্যে ৭ জন করোনার ভাইরাসবাহক বলে শনাক্ত হন।
নগরীর বেসরকারি তিনটি পরীক্ষাগার ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৮৫, শেভরনে ৩৭ ও চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে যথাক্রমে ১৩ জন, ৬ জন ও ৪ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এদিন চট্টগ্রামের ৩১টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ৫ জন করোনা পজিটিভ বলে জানানো হয়।
এদিকে, জেলায় সুস্থের সংখ্যা বেশি হলেও আক্রান্তের সংখ্যা ও হার দু’টোই ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার ৭৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হন, সংক্রমণ হার ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ। সোমবার ৫৬ জনের শরীরে করোনারভাইরাস পাওয়া যায়। সংক্রমণের হার ৭ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। রোববার নতুন ৪৬ জন পজিটিভ হন। সংক্রমণ হার ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ।
