করোনা পরিস্থিতিতে আদালত বন্ধ বা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত প্রধান বিচারপতির : আইনমন্ত্রী

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে আদালত বন্ধ বা খোলা রাখা হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন প্রধান বিচারপতি।
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আশা করবো তিনি আদালত বন্ধ বা খোলা রাখার বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।’
আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরুর জানাজা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন একনিষ্ঠ অনুসারি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস ছিল। তিনি একজন মেধাবী এবং অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান আইনজীবী ছিলেন। তার মৃত্যুতে আইন অঙ্গণে একটা বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। জানি না এই শূন্যতা পূরণ হবে কিনা। আইনমন্ত্রী বলেন, আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত। তিনি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আবদুল মতিন খসরু ছাত্রলীগ করার সময় থেকে তাকে তিনি চিনতেন। সিনিয়র আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি পাঁচবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৬ সালে প্রথমে তিনি আইন প্রতিমন্ত্রী হন। এর ছয় মাস পর তিনি পূর্ণমন্ত্রী হন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি তাকে স্নেহ করতেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সময় তিনি তখন মন্ত্রী ছিলেন, কাজ শেষ করে তিনি সন্ধ্যাবেলা আসতেন, আমাদের কাজ শেষ হলে তিনি বাড়ি ফিরতেন। ১৯৯৬ সালে ইনডেমনিটি আইন বাতিলের সময় তিনি যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা আজও স্মরণীয়। সেদিন তার বক্তব্যে দেশের মানুষ কেঁদেছে।
আবদুল মতিন খসরু গত ১৫ মার্চ সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দেন। ১৬ মার্চ সকালে তার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিনই তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি। পরে বুধবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।