কাপ্তাইয়ে পাহাড় ধসে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু

রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে পাহাড় ধসে শিশুসহ ২ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
বেলা ১২টার দিকে কাপ্তাইয়ের কেপিএম এলাকার কলাবাগানের মালিবাগানে বসত ঘরের উপর মাটি চাপায় এই দুই জন মারা যায় বলে জানিয়েছেন কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নুরুল আনোয়ার।
মৃত ব্যাক্তিরা হলেন- উজ্জ্বল মল্লিক (৩) তাহমিনা আক্তার (২৫)। স্থানীয়রাসহ ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাদেও লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে রাঙ্গামাটিসহ আশেপাশে এলাকাগুলোতে গতকাল সন্ধ্যা থেকে হালকা ও মাঝারি ধরনের থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে বড় ধরনের পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই পাহাড়ের পাদদেশে ঝূঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিজ দায়িত্বে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে সারা শহর জুড়ে মাইকিং করছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।
রোববার দুপুর থেকে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ মাইকিং করা হয়েছে।
বৃষ্টির কারণে রাঙামাটি চট্টগ্রাম সড়কে রাস্তার উপর মাটি ভেঙ্গে পড়লেও সড়ক বিভাগ যানবাহন চলাচল সচল রেখেছে।
রাঙ্গামাটি আবহাওয়া পর্যাবেক্ষন কেন্দ্রের তথ্য মোতাবেক ৭ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৮ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ১৭০ মিলিমিটির বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে সরজমিনে শিমুলতলী, টিভি সেন্টার, নতুনপাড়াসহ বেশ কয়টি ঝুঁকিপুর্ণ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মানুষজন এখনো আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি। তবে ঝুঁকিপুর্ণ এলাকার লোকজন বলছেন বৃষ্টি বাড়লে তারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাবেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১৩ জুন রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে সেনা সদস্যসহ ১২০ জন মৃত্যু হয়েছে এবং ২০১৮ সনের ১২ জুন রাঙামাটি নানিয়ারচর উপজেলায় পাহাড় ধসে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পাহাড় ধসের কারণে জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ বলেছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয় থেকে দুর্যোগ মোকাবেলায় নগদ টাকা ও খাদ্যশষ্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার বিতরণ করার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, আজ বিকালের মধ্যে যদি বৃষ্টি না কমে আর ঝুকিপুর্ণ এলাকার লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে না যায় তাহলে প্রাণহানি এড়াতে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

image_print