কায়সারের দণ্ড কার্যকরে মৃত্যু পরোয়ানা জারি

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা ও সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার সাঈদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‌‌‘বুধবার (২১ অক্টোবর) বিকালে আপিল বিভাগ তার মৃতুদণ্ড বহাল রেখে যে রায় দিয়েছেন, আমরা সেই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি হাতে পেয়েছি। আজ তা প্রস্তুত করে মৃত্যু পরোয়ানা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছি।’

ট্রাইব্যুনালের লাইব্রেরিয়ান তাপস রায় ও ডেসপাস শাখার রাসেল মৃতুপরোয়ানা নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পৌঁছে দেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন কায়সার আপিল বিভাগের রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন দায়েরের সুযোগ পাবেন। আর এজন্য তিনি সময় পাবেন ১৫ দিন। রিভিউ আবেদন দায়ের করলে মৃত্যু পরোয়ানার কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে আর না করলে তার মৃতুদণ্ড কার্যকরের উদ্যেগ নেবে কারাকর্তৃপক্ষ।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে গত ১৪ জানুয়ারি সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। বুধবার এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়।

২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি সৈয়দ কায়সারকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে সাতটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড, চারটিতে যাবজ্জীবন ও তিনটিতে মোট ২২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন সৈয়দ কায়সার। পরে আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তিনটি অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আদালত। এছাড়া চারটি অভিযোগ থেকে খালাস পান তিনি।