কিডনি রোগের প্রতিরোধ ও চিকিৎসার বিষয়ে সরকার যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার স্বাস্থ্য খাতে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছে, যা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হচ্ছে। কিডনি রোগের প্রতিরোধ ও চিকিৎসার বিষয়ে সরকার যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং এ বিষয়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
“আমাদের প্রতিষ্ঠিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি রোগ সনাক্ত করা সম্ভব। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদী কিডনি রোগ ও কিডনি বিকল হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পাবে” বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ‘বিশ্ব কিডনি দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে আরো বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানান। এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘কিডনি রোগে সুস্থ থাকুন” যথার্থ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।
শেখ হাসিনা সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোও তাদের গৃহীত কর্মসূচির মাধ্যমে কিডনি রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোও তাদের গৃহীত কর্মসূচির মাধ্যমে কিডনি রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্য খাতে রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো – এ আমার প্রত্যাশা। ”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিডনি রোগ একটি নীরব ঘাতক। বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি লোক কোন না কোন কিডনি রোগে আক্রান্ত এবং প্রায় ৪০-৫০ হাজার লোক ডায়ালাইসিস এর মাধ্যমে জীবনধারণ করছে। সুস্বাস্থ্যের জন্য সুস্থ্য কিডনির বিকল্প নেই। কিডনি রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তবে আশার কথা যে, অনেক কিডনি রোগ প্রতিরোধযোগ্য। এজন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা ও প্রারম্ভিক পর্যায়ে রোগ সনাক্ত করা। কিডনি রোগ বিশ্বে একটি মহামারি আকার ধারণ করেছে এবং যা সময়মত চিকিৎসা না করলে পরিবার তথা সমাজের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলে।
তিনি বিশ্ব কিডনি দিবস ২০২১ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।