কুকুরের খামার করে লাখ লাখ টাকা আয়!

খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার আমভিটা এলাকার বাসিন্দা মো. সাদিকুর রহমান গালিব। নিজের ছয় একর জমির বাড়িতে বাস করেন একাই। তবে জমির কোনো সীমানা প্রাচীর না থাকায় সেখানে প্রতিনিয়তই চোরের উপদ্রব ছিল।

এর প্রেক্ষিতেই নিজের ৯টি পুকুরের মাছ, বাগানের সবজি ও ফসল আর অন্যান্য গাছপালা নিরাপদ রাখতে কুকুর পালন শুরু করেন তিনি। ধীরে ধীরে তা রূপ নিয়েছে খামারে। এখান থেকেই তিনি এখন লাখ লাখ টাকা আয় করেন।

গালিবের খামারে পাঁচ প্রজাতির ২৭টি কুকুর রয়েছে। এরমধ্যে কুকুর ছানা ৭টি। পাঁচটি মেয়ে কুকুরসহ জার্মান শেফার্ড প্রজাতির কুকুর আছে ১৩টি। এরমধ্যে ৩টি ছানা। দুটি মেয়ে কুকুরসহ রট ওয়াইলার জাতের কুকুর রয়েছে পাঁচটি। এরমধ্যে ৪টি ছানা। পিটকুল টেরিয়ান প্রজাতির একটি একটি মেয়েসহ কুকুর রয়েছে তিনটি। লাসা আপসোর (তিব্বত) জাতের কুকুর একটি মেয়েসহ তিনটি এবং স্পিড (জার্মানি) একটি মেয়ে কুকুরসহ মোট রয়েছে তিনটি।

গালিব জানান, শুরুতে দেশি কুকুরই রাখতেন। তবে ২০১৫ সাল থেকে বিদেশি জাতের কুকুর রাখার পর খামারের চিত্র ইতিবাচকভাবে বদলে যায়। বিদেশি জাতের কুকুরের ছানার ক্রেতা বেশি। এমনকি এসব কুকুর ছানা মায়ের গর্ভে থাকতেই বিক্রি হয়ে যায়। আগ্রহী ক্রেতারা টাকা আগাম দিয়ে ছানা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর এসে সংগ্রহ করেন। এ পর্যন্ত ৮০টি কুকুর ছানা বিক্রি করে গালিব আয় করেছেন ১২ লাখ টাকা।

গালিব বলেন, ‘কুকুর পালনে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। প্রতিদিন দুই বেলা মুরগির গোশত দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ানো হয়। এসব কুকুরের স্বাস্থ্য পরিচর্যার দিকে যথাযথভাবে খেয়াল রেখে নিয়ম করে কৃমিনাশক ট্যাবলেট ও প্রতি মাসে ভ্যাকসিন দেয়া হয়।’

‘কুকুরের খামারে বেশি খরচ নেই। তবে লাভজনক। বেকার তরুণরা চাইলে এ ধরনের খামার করতে পারেন। এজন্য স্থান, আগ্রহ, যথাযথ সময় দেয়া এবং যত্ন নেয়া প্রয়োজন,’ বলেন গালিব।