কুমিল্লাকে হারিয়ে ফাইনালে রংপুর

ব্রেন্ডন ম্যাককালাম আর জনসন চার্লসের ব্যাটিং তান্ডবে রংপুর রাইডার্সের রান পৌঁছায় ১৯২ রানে। শতক হাঁকান জনসন চার্লস। ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। এ দুজনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সামনে নখদন্তহীন ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বোলিং।
৭ ওভার শেষে রংপুর রাইডার্সের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৫৫ রান। গতকাল বাগড়া দিয়েছিল বৃষ্টি। আজ খেলা শুরু হয় ঠিক সময়ে। চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দেন জনসন চার্লস ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।
দিনের প্রথম দুই ওভার ভালোই হয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। গ্রায়েম ক্রেমার আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন মিলে আটকে রেখেছিলেন রংপুর রাইডার্সকে। ইনিংসের দশম ওভারে ক্রেমারের বলে ছক্কা দিয়ে ঝড় শুরু করেন ম্যাককালাম। ম্যাককালামের ছক্কার এক বল পরে ছক্কা হাঁকিয়ে আগের দিনের ঝড় অব্যহত রাখেন জনসন চার্লস।

যেখান থেকে চার্লস শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই যেন শুরু করলেন। সাইফউদ্দিনকে এক ওভারে দুই ছক্কা হাঁকান তিনি। এরপর ক্রেমারের দুই বলে দুই ছক্কা মারেন ম্যাককালাম। প্রায় প্রতি ওভারেই ছক্কা আসেছে ম্যাককালামের ব্যাট থেকে। অপর প্রান্তে চার্লসও ব্যাটিং করছিলেন খুনে মেজাজে।

শেষ চার ওভারে ৫৩ রান তুলে রংপুর রাইডার্স। ১৭ তম ওভারে আল-আমিন হোসেনের তিন বলে তিন ছক্কা হাঁকান ম্যাককালাম। রানের বন্যা কোনোভাবেই আটকাতে পারছিল না কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বোলাররা। শেষ ওভারে দুই চার মেরে শতক পূর্ণ করেন চার্লস। ৯ চার ও ৭ ছক্কায় ৬৩ বলে ১০৫ রান করেন চার্লস। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম শেষ ওভারের আগের ওভারে আউট হন। ম্যাককালামের ব্যাট থেকে আসে ৭৮ রান। ১ টি চারের সাথে তার ইনিংসে ছিল ৯ টি ছক্কা।

বড় লক্ষ্য তাড়ার জন্য করতে গিয়ে ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস দ্রুত রান তুলতে থাকেন। প্রথম ওভারে লিটন দাস মারেন এক চার ও এক ছয়। লিটন দাসের সঙ্গে রান উৎসবে যোগ দেন তামিম ইকবাল। তামিম ও লিটনের ব্যাটে বড় স্কোর তাড়া করে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সমর্থকরা। লিটন দাসকে বেশ কয়েকবার রান আউট করার সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি রংপুরের ফিল্ডাররা।

দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকা তামিম ইকবাল একবার বেঁচে যান আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের ফলে। থামেন ৩৬ রান করে। মাশরাফির বলে টানা দুই বলে দুই চার মারার পর ডাউন দ্যা উইকেটে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন তামিম। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ বলে ৩৬ রান করেন তামিম।

তামিম ইকবালের বিদায়ের পরেই ছন্দপতন ঘটে কুমিল্লার। রংপুর রাইডার্সের বোলাররা লাগাম ধরেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। তামিমের বিদায়ের পরের ওভারে সোহাগ গাজীকে ক্রিজ থেকে বাইরে এসে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হন ইমরুল কায়েস (০)।

এরপর শোয়েব মালিক থিতু হওয়ার আগেই ১৪ বলে ১০ রান করে নাজমুল ইসলামের বলে আউট হন রুবেল হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ৭৫ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে। লিটন দাস লড়াই করলেও তার ইনিংস লম্বা হয়নি। দলীয় ৯৫ রানের মাথায় ইসুরু উদানার অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের ডেলিভারি সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ মিঠুনকে। এর পর একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে। সব শেষে মাশরাফির ক্যাচের মাধ্যমে যবনিকা ঘটে কুমিল্লার।
আজকের বাজার: সালি / ১১ ডিসেম্বর ২০১৭