কুষ্টিয়ায় চাচাকে হত্যার দায়ে ভাতিজার মৃত্যুদণ্ড

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রধান শিক্ষক মুন্সী রবিউল ইসলাম হত্যা মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন-কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার দয়রাপুর এলাকার মৃত মুন্সী রেজাউল করিমের ছেলে এবং নিহত শিক্ষক মুন্সী রবিউল ইসলামের ভাতিজা মুন্সী মো. সোহাগ (৩৫)।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-কুমারখালী উপজেলার দয়রামপুর এলকার মৃত মজিবরের ছেলে রাজু আহম্মেদ (৩৫), কোমরকান্দি এলাকার ইয়াকুবের ছেলে রুবেল (৩৫) ও দুর্গাপুর এলাকার হাতেম শেখের ছেলে আজাদ (৪০)। মামলার বিবরণী সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি রাত ১টার দিকে হোগলা মহেন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুন্সী রবিউল ইসলাম তার চাচাতো ভাইয়ের ইট ভাটার কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। ইটভাটার দায়িত্ব নিয়ে ভাতিজা সোহাগের সাথে বিরোধ চলে আসছিল তার। এজন্য মোবাইলে বিভিন্ন সময়ে ওই শিক্ষককে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সে।

২৪ জানুয়ারি বাড়ি ফিরে মোটরসাইকেল বারান্দায় উঠানোর সময় একদল সন্ত্রাসীরা ডান কানের ওপর দিকে মাথায় একটি ও ডান পাঁজরে আরেকটি গুলি করে। গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় রবিউল ইসলামকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন ২৫ জানুয়ারি নিহত রবিউল ইসলামের মা হাওয়া খাতুন অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমারখালী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) এসএম আরিফুর রহমান ২০১৬ সালে ৩০ এপ্রিল চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সূত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/আখনূর রহমান