‘কেউ ক্ষুধার্ত, গৃহহীন ও চিকিৎসাবঞ্চিত থাকবে না’

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বলেছেন, তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দেশের প্রত্যেক গ্রাম ও ঘরে ঘরে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দেয়া।

‘প্রতিটি মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হবে; কেউ ক্ষুধার্ত, গৃহহীন থাকবে না ও চিকিৎসা বঞ্চিত রইবে না। প্রতিটি মানুষের জীবন অর্থপূর্ণ, সুন্দর ও উন্নত হবে। এটি আমাদের লক্ষ্য এবং তা বাস্তাবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে’, বলেন তিনি।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাধীনতা পদক- ২০১৯ প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে সব মানুষ যেন স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারে। যেই স্বপ্ন দেখতেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার সুফল পাবে এবং দেশ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নত হবে। ‘আমাদের লক্ষ্য বিশ্বের উন্নত জাতি হিসাবে গৌরব অর্জন করা, সে লক্ষ্য অর্জনে আমরা কাজ করছি, দেশের মানুষ ফলাফলও পাচ্ছে’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, গত এক দশকের প্রচেষ্টায় দেশ এখন একটি গৌরবময় অবস্থানে দাঁড়িয়েছে, যেখানে জিডিপি ৮ শতাংশ এবং মাথাপিছু আয় ১৯০৯ ডলারে পৌঁছেছে।

‘বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল, সারা পৃথিবী এখন বাংলাদেশকে সম্মানের সাথে দেখে’, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চ রাত বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি অন্ধকার রাত। ১৯৭১ সালের এই রাতে পাক বাহিনী নিরীহ মানুষের ওপর নিষ্ঠুর ও বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালায়। সরকার ২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ গণহত্যা দিবস হিসেবে এই দিনটি পালন করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, একটি বিজয়ী জাতি হিসেবে বাংলাদেশ সারা পৃথিবীতে চিরকালের জন্য মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে পরিপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে মাত্র ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে দেশ সমৃদ্ধ হতে পারতো।

‘কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির উপর একটি কালো অধ্যায় নেমে আসে’,বলেন প্রধানমন্ত্রী।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।