খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় বদরুলের যাবজ্জীবন

সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলায় একমাত্র আসামি শাবি থেকে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে ৫ মার্চ আদালতে প্রায় তিন ঘণ্টার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ৮ মার্চ রায়ের তারিখ ঘোষণা করেছিলেন বিচারক। সে অনুযায়ী, মামলার এ রায় ঘোষণা করা হলো।

উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে সরকারি মহিলা কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে নির্মমভাবে কুপিয়ে আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ছাত্র বদরুল আলম। এ ঘটনার পর খাদিজাকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে ঢাকার সিআরপিতে চিকিৎসা গ্রহণ করে খাদিজা। প্রায় ৫ মাস চিকিৎসা নিয়ে সে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছে।

ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বদরুলকে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসেই গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বদরুলকে একমাত্র আসামি করে খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস থানায় মামলা করেন। ৫ অক্টোবর বদরুল দোষ স্বীকার করে সিলেটের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে সে জানিয়েছিল, প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় খাদিজাকে কুপিয়েছে। ঘটনার প্রায় ৩৫ দিন পর পুলিশ তদন্ত শেষে আলোচিত এ হত্যাচেষ্টা মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করে। আর এতে একমাত্র আসামি করা হয় বদরুল আলমকে। চার্জশিটের সূত্র ধরে পুলিশ স্বল্প সময়ের মধ্যে ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৩ জনের সাক্ষ্য নভেম্বরেই শেষ করা হয়। এরপর সুস্থ হয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি খাদিজা আক্তার নার্গিস সশরীরে সিলেটে আদালতে এসে বদরুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন।

 

 

সুত্র: দ্য রিপোর্ট