খালেদার জন্য পুলিশি নিরাপত্তা চায় বিএনপি

দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজার সামনে পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছে বিএনপি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ দাবি জানান। নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য কারামুক্তি পাওয়ার পর গত ২৫ মার্চ থেকে বিএনপি প্রধান ফিরোজায় অবস্থান করছেন।

রিজভী বলেন, খালেদার একান্ত সচিব আইজিপি বরাবর পুলিশি নিরাপত্তার আবেদন করলেও এ বিষয়ে এখনও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে আমি অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশের আইজিপিকে অনুরোধ করছি,’ বলেন তিনি। গত ২৫ মার্চ সরকার ৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে ২৫ মাস কারাভোগের পর দুটি শর্তে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। শর্ত দুটি হলো- দেশ ত্যাগ করা যাবে না এবং গুলশানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। একই বছরে তিনি আরও একটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন। যদিও তার দল বলছে, দুটি মামলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদিও বাংলাদেশ সরকার বলছে, সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে পশ্চিমা মিডিয়াগুলো বলছে আগামী দুই সপ্তাহ বাংলাদেশের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে বিদেশি কূটনীতিক এবং নাগরিকরা দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। ‘করোনা যদি এখনই কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ না করা যায় তবে তা ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে।’

তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের নীতির কারণেই দেশের করোনা পরিস্থিতির আসল চিত্র ফুটে উঠছে না। ভেতরে ভেতরে সংক্রমণ হতে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে। রিজভী গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, করোনাভাইরাসের উপসর্গ যেমন কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে অনেক মানুষ মারা যাওয়ার খবর প্রতিদিন মিডিয়াতে প্রকাশিত হলেও সরকার বলছে গত দুইদিনে মাত্র একজন মারা গেছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সরকারের বেশি বেশি করোনা পরীক্ষার সুযোগ বাড়ানো উচিত এবং লকডাউন ও হোম কোয়ারেন্টাইনের দিকে কঠোরভাবে নজর দেয়া উচিত বলে এই বিএনপি নেতা মনে করেন। সূত্র- ইউএনবি

আজকের বাজার/ শারমিন আক্তার