খালেদার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টে জমা দিল বিএসএমএমইউ

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি প্রতিবেদন বুধবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ে জমা দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়(বিএসএমএমইউ)কর্তৃপক্ষ। সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা সাইফুর রহমান জানান, বিএসএমএমইউ’র একজন আইনী কর্মকর্তা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে নিয়ে যান। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে এই প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হবে, যেখানে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে গত রবিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিএসএমএমইউ’র উপাচার্যকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে আজ(বুধবার)বিকাল ৫টার মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি(বৃহস্পতিবার)খালেদার জামিন আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেন। খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডকে তার উন্নত চিকিৎসা দেয়ার অনুমতি দিয়েছেন কিনা, তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে কিনা এবং তার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা- বিএসএমএমইউ উপাচার্যকে এই তিনটি বিষয় অবহিত করতে বলেছে আদালত। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে হাইকোর্টে নতুন জামিন আবেদন করেন বিএনপি প্রধান। বিএনপি চেয়ারপার্সন গুরুতর অসুস্থ এবং তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন উল্লেখ করে আবেদনে বলা হয়,‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) খালেদা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না এবং জামিন পেলে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যেতে চান।’ বিএসএমএমইউ প্রতিবেদন সম্পর্কে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে খালেদার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বিএসএমএমইউ মেডিকেল বোর্ড প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে পারে যে, প্রয়োজনীয় টিকা গ্রহণের বিষয়ে অস্বীকৃতি জানিয়ে উন্নত চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুমতি দেননি বিএনপি প্রধান।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় খালেদা জিয়া টীকা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন উল্লেখ করে মাহবুব হোসেন আরও বলেন,‘বিএসএমএমইউ মেডিকেল বোর্ড ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঠেকাতে সক্ষম কিনা সে বিষয়েও তিনি সন্দিহান, এজন্যই মেডিকেল বোর্ডকে উন্নত চিকিৎসা শুরু করার অনুমতি দেননি খালেদা।’ এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, বিএসএমএমইউতে উন্নত চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলেই খালেদা জিয়ার জামিন গ্রহণযোগ্য নয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টসহ দুটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সূত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/আখনূর রহমান