গণভোটের দাবি নিয়ে লন্ডনের রাস্তায় দশ লাখেরও বেশি মানুষ

ফের গণভোটের দাবি নিয়ে আজ লন্ডনের রাস্তায় নামলেন ব্রেক্সিট নিয়ে সন্দিহান দশ লাখেরও বেশি মানুষ। তাঁদের দাবি, আর এক বার ভোট হোক। চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে জানিয়েছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন না পেলে তিনি হয়তো তাঁর ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে আর পার্লামেন্টে তৃতীয় ভোটে যাবেন না।

পার্ক লেন থেকে পার্লামেন্ট পর্যন্ত মিছিল করেন মানুষ। ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের সময়ে যুদ্ধ-বিরোধী সমাবেশে ১০ লক্ষ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। তার পরে লন্ডনে এত বড় জমায়েত এই প্রথম।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর কাছে ৯০ দিন সময় চেয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত ব্রেক্সিট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন মে। কিন্তু জবাবে তাঁকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছে ইইউ। এর মধ্যে তৃতীয় ও শেষ বারের মতো তাঁর চুক্তি পার্লামেন্টে পেশ করতে হবে মে-কে। ওই চুক্তি যদি পাশ হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য ব্রিটেনকে ২২ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে। কিন্তু চুক্তি পাশ না হলে, ১২ এপ্রিলের মধ্যে ইইউ-কে জানাতে হবে। এর পরেই শুক্রবার রাতে মে চিঠি দিয়ে এমপি-দের জানিয়েছেন, পার্লামেন্ট যেহেতু তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে, বিষয়টি নিয়ে আরও কথা বলা দরকার। তিনি লিখেছেন, এই মুহূর্তে চারটি রাস্তা খোলা রয়েছে।

সেগুলি হল:
১) আগামী সপ্তাহে তাঁর প্রস্তাবিত চুক্তিকে সমর্থন জানানো হোক। কিন্তু হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বেরকাউ আগে বলেছিলেন, মে-র চুক্তিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করা হলে তবেই যেন তা পার্লামেন্টে পেশ করা হয়।
২) ১২ এপ্রিলের মধ্যে আরও সময় চাওয়া হোক ইইউয়ের কাছে। সে ক্ষেত্রে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে যোগ দিতে হবে ব্রিটেনকে।
৩) অনুচ্ছেদ ৫০ রদ করা হোক। তার মানে ব্রেক্সিট বাতিল করে দেওয়া। কিন্তু এতে গণভোটের রায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে।
৪) চুক্তিহীন ভাবেই ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া।