গরু মোটাতাজাকরণে ইনজেকশন নয়, পরিপূর্ণ খাদ্যই যথেষ্ট

কুরবানীর জন্য আমাদের দেশে প্রায় এক কোটি গরুর চাহিদা রয়েছে। সরকারের সুষ্টু পরিকল্পণার কারণেই এবছর ভারতের গরু বাংলাদেশে তেমন আসতে পারেনি। আমাদের চাহিদার তুলনায় বেশি গরু হওয়ার ফলে কিছু খামারির গরু বিক্রি হয়নি। ফলে বাজার থেকে ফেরত নিতে হয়েছে। তবে ইনজেকশন ব্যবহার করে যারা গরু মোটাতাজা করেছে তাদের ব্যপারে সরকার এবছর খুবই সোচ্চার ছিল।

আমাদের দেশে দুই ধরনের গরু পালন করা হয়ে থাকে। কুরবানীর জন্য এবং নিয়মিত খাওয়ার জন্য গরু পালন করা হয়। কুরবানীর জন্য ষাড় গরু এবং নিয়মিত খাওয়ার জন্য দুধ দিতে অক্ষম বা বাচ্চা দিতে অক্ষম এমন গাভীর চাহিদা দেখা যায়। তবে কুরবানীর জন্য যে গরু পালন করা হয় তার লালন পালন করতে খরচ তুলনামুলক একটু বেশি হয়।
গরু মোটাতাজাকরণ করে আত্মকর্মসংস্থান করতে পারে যুবকরা। যা আমাদের দেশের অর্থনীতিতে অনেক বড় ভুমিকা রাখে। সেক্ষেত্রে এক বছর বয়সের গরু নিতে হবে যার বাজার দর হবে ১৪ থেকে ১৬ হাজার টাকা এবং যার ওজন ৩০ থেকে ৩২কেজি। প্রতি মাসে ওষুধ বা চিকিৎসা এবং খাবার খরচসহ বছর শেষে সর্বমোট খরচ মিলে হবে প্রায় ৪০হাজার টাকা। এক বছর লালন-পালন করলে যেটা ১শ থেকে ১১০কেজি মাংস হতে পারে। যার বাজার মুল্য হতে পারে ৬০থেকে ৬৫হাজার টাকা। ফলে এইভাবে গরু মোটাতাজাকরণ করেও লাভবান হওয়া যাবে।

তবে গরু দ্রুত মোটাতাজাকরণের ক্ষেত্রে অনেকেই ইনজেকশন ব্যবহার করে থাকে, যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর। ইনজেকশন দিয়ে গরু মোটাতাজা করলে খরচ একটু কম হলেও মানব দেহের জন্য তা খুবই ক্ষতিকর এবং অনেক ধরনের ক্ষতিকর দিক রয়েছে। সারা পৃথিবীতে ইনজেকশন নিষিদ্ব করা হয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে খাবার দিয়েই গরু মোটাতাজা করা যায়। গরু মোটাতাজাকরণে ইনজেকশন ব্যবহার না করে বরং পরিপূর্ণ খাদ্যই যথেষ্ট।

খাদ্য দিয়ে গরু মোটাতাজা করলেও কৃমিনাশক ওষুধ, ভিটামিন, মিনারেলসহ যা শরীরের সাথে সহজেই মিশে যায় এমন ওষুধ খাওয়াতে হবে। ফলে গরুর খাদ্যের চাহিদা বাড়বে এবং বেশি খাদ্য গ্রহনের ফলে দ্রুত মোটাতাজা হবে। ফলে কেউ চাইলেই প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজা করে লাভবান হতে পারে। এইভাবে দেশের বেকার যুবকেরা আত্বকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে।

শামসুল হুদা
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, উইল্টস মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেড

জাকির/আজকের বাজার