গাজার হাসপাতালে ইসরাইলি বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের গাজা আহলি আরাবি হাসপাতালের নৃশংস হামলা চলিয়ে শত শত নিরীহ বেসামরিক নাগরিক প্রধানত নারী ও শিশুদের নির্বিচারে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)-এর বিরুদ্ধে ‘অপরাধমূলক কাজ’ এবং ‘মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ’-এর অভিযোগ করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আইডিএফকে ‘দখলকারী বাহিনী’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং এ বর্বর নৃশংসতার জন্য তাদের জবাবদিহিতার সম্মুখীন করতে উপযুক্ত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ‘এই অপরাধমূলক কাজের অপরাধীদের অবশ্যই তাদের ক্রিয়াকলাপের জন্য জবাবদিহি করতে হবে এবং যুদ্ধের শিকার হিসাবে নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের আরও মৃত্যু ও দুর্ভোগ রোধ করতে এই বর্বর যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে এই নির্মম হামলা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন ‘মানবতার বিরুদ্ধে একটি গুরুতর অপরাধ’।
ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে চলমান ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসনের বিষয়ে ওআইসি নির্বাহী কমিটির জরুরিভাবে বসা ‘অ-সাধারণ’ বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন যোগদানের সময় এই বিবৃতি এসেছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে, বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে গাজায় ইসরাইল বর্তমানে যে যুদ্ধ চালাচ্ছে তা শুধু অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অসমই নয়, এটি গাজার ফিলিস্তিনি জনগণকে সম্মিলিতভাবে শাস্তি প্রদান এবং মানবাধিকারের সমস্ত মৌলিক নীতি ও আন্তর্জাতিক নাগরিক চুক্তি ও কনভেনশন লঙ্ঘনের সামিল।

বাংলাদেশ জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই জঘন্য কর্মকা-ের নিন্দা এবং জরুরিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ভূখ-ে মানবিক প্রবেশাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ একই সঙ্গে ফিলিস্তিন প্রশ্নের স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আলোচনার টেবিলে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশ মনে করে যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চলমান সংঘাতের মূল কারণগুলো সমাধান করার সময় এসেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এটা স্পষ্ট যে সম্মানজনক জীবনকে অস্বীকার করা এবং ইসরাইলি দখলদারিত্বের অধীনে বসবাস করা এবং ফিলিস্তিনি ভূখ-ে জোরপূর্বক বসতি স্থাপন এই অঞ্চলে শান্তির দিকে পরিচালিত করবে না।’
তাই, এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অবিচ্ছেদ্য অধিকারকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং ইউএনএসসি রেজোলিউশন নং ২৪২ ও ৩৩৮-এ পরিকল্পনা অনুসারে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সীমানার ভিত্তিতে একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান সমর্থন করে। (বাসস)