গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর প্রথম জনসভায় বক্তব্য দিবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একটি হত্যা প্রচেষ্টায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর শনিবার প্রথম জনসমক্ষে হাজার হাজার সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।এই হত্যা প্রচেষ্টার জন্য তিনি ক্ষমতাসীনদের অভিযুক্ত করেছেন।
ইমরান খান গত এপ্রিল মাসে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে  রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এই বন্দুক হামলা ছিল সর্বশেষ মোড়।
ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টি আয়োজিত ‘লং মার্চ’ হিসেবে কথিত শনিবারের সমাবেশটি এই ধারাবাহিক রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিণতি। এর মাধ্যমে আগামী বছরের অক্টোবরে পার্লামেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে আগাম নির্বাচন করার জন্য সরকারকে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
সকালে এক টুইটে খানের বক্তব্য উদ্ধৃত করে পিটিআই জানায়, ‘আমার জীবন বিপন্ন এবং আহত হওয়া সত্ত্বেও আমি জাতির জন্য রাওয়ালপিন্ডিতে যাচ্ছি।’
খান বলেন, ‘আমার জাতি আমার জন্য রাওয়ালপিন্ডিতে আসবে।’
শনিবার সহকারীদের প্রচারিত এক ভিডিওতে খানের পায়ের ব্যান্ডেজ অপসারিত অবস্থায় পোজ দিতে দেখা যায়। বন্দুক হামলার পর তার ডান পায়ের জখমে এই ব্যান্ডেজ করা হয়েছিল।
রাজধানী ইসলামাবাদ এবং  গ্যারিসন শহর রাওয়ালপিন্ডির একটি বিস্তৃীর্ণ খোলা মাঠে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হবে। রাওয়ালপিন্ডিতে দেশের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর সদর দপ্তর ও  আবাসস্থল রয়েছে।
খানের সমর্থকদের সরকারি ভবনের দিকে মিছিল করা থেকে বিরত রাখতে কর্তৃপক্ষ ইসলামাবাদের চারপাশে ব্যারিকেড তৈরি করেছে। হাজার হাজার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে এবং শিপিং কন্টেইনার দিয়ে রাস্তা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
খানের নেতৃত্বে মে মাসে বিক্ষোভে ২৪ ঘন্টাব্যাপী বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। রাজধানী অবরোধ করে এবং পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে পাকিস্তান জুড়ে সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ বলেছে, পিটিআই সমর্থকদের এবার ইসলামাবাদে প্রবেশের যে কোনো প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে মোকাবেলা করা হবে।
শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ সমাবেশের নিরাপত্তা হুমকির বিষয়ে একটি ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছেন। ইমরান খান তার হত্যা প্রচেষ্টার ষড়যন্ত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
খানের ক্ষতি করতে পারে এমন চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের তালেবান এবং আল কায়েদাকে তালিকাভুক্ত করে রানা সানাউল্লাহ বলেন, ‘পিটিআই-এর কাছে এখনও সমাবেশ বাতিল করার সময় আছে।’