গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে আদালতের ৬ নির্দেশনা

বাসা-বাড়িতে গৃহকর্মী রাখার ক্ষেত্রে জরুরিভাবে ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছে আদালত। ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীন হত্যা মামলায় রায় ঘোষণার আগে রোববার এসব নির্দেশা দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।

এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-রুমা ওরফে রেশমা ও রিক্তা আক্তার ওরফে স্বপ্না। রায় ঘোষণার আগে তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছেন, গৃহকর্মী মোসাম্মৎ রেশমা আক্তার ওরফে রুমা ও রিতা আক্তার ওরফে স্বপনার মতো আর কেউ যেন ভুল পথে অগ্রসর হতে না পারে, সেজন্য বাসা-বাড়িতে গৃহকর্মী রাখার ক্ষেত্রে গৃহকর্তা-গৃহকর্ত্রীকে সতর্ক হতে হবে।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. গৃহকর্মী নিয়োগের তারিখ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত তাকে সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন, যেন তারা বাসার মূল্যবান মালামাল চুরি করে পালিয়ে যেতে না পারে। গৃহকর্মী কোনো অন্যায় কাজ করলে গৃহকর্তা বা গৃহকর্তী তাকে কোনোরূপ আঘাত বা মারধর না করে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায়/সমাজসেবা অফিসারকে জানাবেন।

২. বাসার গৃহকর্মী রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই গৃহকর্মীর বিস্তারিত তথ্য রাখা উচিত। এক্ষেত্রে গৃহকর্মীর ছবি ও জীবন বৃত্তান্ত রাখতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট থানায় তার ছবি ও জীবনবৃত্তান্তের একটি কপি জমা দিতে হবে।

৩. বাসার মূল গেটে সিসি ক্যামেরা না থাকলে অবিলম্বের সিসি ক্যামেরা স্থাপনে ব্যবস্থা নিতে হবে।

৪. কোনো গৃহকর্মী যদি অন্য কোনো গৃহকর্মীকে কোনো বাসায় কাজ দেয় তাহলে সংশ্লিষ্ট থানায় ওই গৃহকর্মীরও নাম-ঠিকানা সংরক্ষণপূর্বক অবগত করতে হবে।

৫. গৃহকর্মী সরবরাহ প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই লাইসেন্স করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট থানাকে ওই কোম্পানির কার্যক্রম বিষয়ে অবগত করতে হবে। ওই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স না থাকলে তার কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।

৬. গৃহকর্মী সরবরাহ প্রতিষ্ঠান কর্মীর ছবি ও জীবন বৃত্তান্ত সংশ্লিষ্ট থানায় অবশ্যই জমা দিতে হবে। রাজধানীসহ অন্যান্য জেলার বাসিন্দাদের এ বিষয়ে সচেতন ও সতর্ক হওয়া খুবই জরুরি বলে পর্যবেক্ষণে বলেন বিচারক। তথ্য-ডেইলি বাংলাদেশ

আজকের বাজার/আখনূর রহমান