গ্রীষ্মকালীন চাষের মাধ্যমে পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে : কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সারাদেশে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ ছড়িয়ে দিতে হবে। দেশে তিন বছরের মধ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন ১০ লাখ টন বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ড. আব্দুর রাজ্জাক আজ মন্ত্রণালয় থেকে অনলাইনে মেহেরপুর সদর উপজেলার কালিগাংনি গ্রামে বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউটের (বারি) উদ্যোগে আয়োজিত ‘ গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ’র মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

বারি’র মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও কৃষি সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রদর্শনী প্লট থেকে নমুনা পেঁয়াজ সংগ্রহে দেখা যাচ্ছে যে হেক্টর প্রতি প্রায় ১৯ মেট্রিক টন গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে, যা খুবই আনন্দের কথা। পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে এই উচ্চ ফলনশীল বারি-৫ জাতের পেঁয়াজ চাষ সারাদেশে দ্রুত ছড়িয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজে আমরা কারো ওপর নির্ভরশীল হতে চাই না, স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই। দেশে পেঁয়াজ নিয়ে সংকট চলছে। পেঁয়াজ রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আর পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা তৈরি করেছে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ। এই ফসলে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে চাইলে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন করতে হবে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ অত্যন্ত পচনশীল একটি পণ্য। মজুত করে রাখা যায় না। সহজে মজুত করে রাখতে পারলে পেঁয়াজ নিয়ে সংকট হতো না।

রাজ্জাক বলেন, পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য কোল্ড স্টোরেজের সুবিধা বাড়াতে হবে। তা না হলে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে হবে। বিশেষ করে কোল্ড স্টোরেজের সুবিধা বাড়াতে পারলে পেঁয়াজ নিয়ে সংকট হতো না। তবে সেক্ষেত্রে পেঁয়াজের দাম পড়ে যেতে পারে। সে তুলনায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ সহজতর বেশি সম্ভাবনাময়।

ফরহাদ হোসেন বলেন, মেহেরপুর কৃষিতে অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল। এই জেলার মাটি অত্যন্ত উর্বর হওয়ায় প্রায় সব ধরনের ফসল প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয়। অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পেঁয়াজের ফলনও অনেক।
তিনি আরো বলেন, দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণে এই অঞ্চলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।