ঘুমন্ত স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা

নাটোরের গুরুদাসপুরে বিয়ের তিন দিন পর প্রাক্তন স্ত্রীর ইন্ধনে নববধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে স্বামী।এ ঘটনায় স্বামীসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ঝাউপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইমা নামে এক মেয়ের সঙ্গে ফরহাদের প্রেম করে বিয়ে হয়। বাবা-মা মেনে না নেয়ায় মার্চের ৭ তারিখে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়। ছাড়াছাড়ি হলেও তাদের মধ্যে গোপনে সম্পর্ক থেকেই যায়। এর পর ২২ মার্চ ফরহাদের সঙ্গে বিয়ে হয় মিমের। বিয়ের পর তার আগের স্ত্রী ইমা, শ্বশুর তফেরউদ্দিন ও শাশুড়ি শুকজান বেগম তার স্ত্রী মিমকে হত্যা করে ইমাকে ফেরত নেয়ার কথা বলে। তাদের পরামর্শে রোববার ফরহাদ মা-বাবাকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়াইয়ে ঘুমিয়ে রাখেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে তালাককৃত স্ত্রী ইমা ও ইমার বাবা-মা গোপনে ফরহাদের বাড়িতে আসে। তারা ফরহাদের হাতে গ্লাবস পরিয়ে দেয়। এর পর ঘুমন্ত মিমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাড়ির পেছনের ডোবায় লাশ পুঁতে রাখে। পরে ওই রাতেই মিমের বাবা মনিরুলকে ফোন করে ফরহাদ জানায়, তার মেয়ে একটি চিঠি লিখে জীবন নামে এক ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। পরে তারা অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মঙ্গলবার বিকালে মেয়ে নিখোঁজের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ফরহাদ ও তার বাবা তহিদুলকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিমকে হত্যার কথা স্বীকার করে ফরহাদ। পরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আগের স্ত্রী ইমা (১৮), তফেরউদ্দিন (৫৫), শুকজান বেগমকে (৪৫) আটক করে পুলিশ।

গুরুদাসপুর থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস জানান, মিমকে হত্যা করে মাটির নিচে লাশ পুঁতে রেখে গোপনের চেষ্টা করা হয়েছিল। সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

আজকের বাজার/আজেড