ঘূর্ণিঝড় মোখা: চাঁদপুরে উত্তাল হচ্ছে পদ্মা-মেঘনা

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে চাঁদপুরের মেঘনা উপকূলীয় এলাকায়। একই সাথে উত্তাল হয়ে উঠেছে পদ্মা ও মেঘনা নদী। বাতাসের গতিও বেড়েছে। চরাঞ্চলের লোকদেরকে সর্তক করে দিচ্ছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যরা। সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের নদী পাড়ের প্রায় ৫শতাধিক মানুষ সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছে।
শনিবার ভোর থেকে বেলা সাড়ে ১টা পর্যন্ত আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে থেকে থেকে । পদ্মা-মেঘনা নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। গতিবেগ পরিবর্তন করে বাতাসও বেড়েছে। মেঘনা নদীর মোহনা এলাকায় গিয়ে দেখাগেছে নদী উত্তাল হওয়ার কারণে নৌযানের সংখ্যা খুবই কম।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, রোববার দুপুর থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব কিছুটা পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের পস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে, ৩৫৫ টি সাইক্লোন সেন্টার, মেডিকেল টিম, উদ্ধার কর্মী, কোস্ট গার্ড, নৌ-পুলিশ, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সে¦চ্ছাসেবী, প্রয়োজনীয় ত্রাণ মজুদ রাখা হয়েছে।
চাঁদপুর থেকে সকল রুটের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে, চাঁদপুর শরিয়তপুর রুটের ফেরি চলাচল গতকাল রাত থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে দুই পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে শতাধিক যানবাহন।
সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হজরত আলী বেপারী বলেন, সদরে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চল হচ্ছে রাজরাজেশ্বর। আজ সকাল থেকেই তিনি রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যদের নিয়ে চরাঞ্চলের লোকদেরকে সতর্ক করে দিয়েছেন এবং মাইকিং করেছেন। জেলে ও চরাঞ্চলের লোকদেরকে নিরাপদ আশ্রয় থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়।
চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধ থেকে শুরু করে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত সব চেয়ে নীচু এলাকা হচ্ছে সদর উপজেলার হানাচর ইউনিয়ন। সেখানে সকাল থেকেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা নদী তীর পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
হানারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাত্তার রাড়ী বলেন, শনিবার বিকেলেই নদীর পাড় ও বেড়িবাঁধ সংলগ্ন প্রায় ৫শতাধিক লোক হরিনা চালতাতলী এডওয়ার্ড স্কুল সংলগ্ন সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। তারা নিরাপদে আছে। গতকাল বিকেলে এবং আজ সকালে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, নৌ পুলিশের এসপি মো. কামরুজ্জামান একাধিকবার আশ্রয় কেন্দ্রের লোকদের সাথে কথা বলেছেন।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাব কিছুটা পড়েছে, কিন্তু মারাত্মক না। তবে পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৪ ইঞ্চি বেড়েছে। আমাদের লোকজন উপকূলের বাঁধ এলাকা পর্যবেক্ষণে আছেন।