চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার ক্লিনিক্যাল টেস্টে নতুন ৯ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ০ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর নয়টি ল্যাবে গতকাল ১ হাজার ৪৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। নতুন শনাক্ত ৯ জীবাণুবাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬ জন ও ফটিকছড়ি উপজেলার ৩ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ৩৩২ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৪ হাজার ৩৭ জন এবং গ্রামের ২৮ হাজার ২৯৫ জন। গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগিদের মধ্যে গ্রামের একজন মারা যান। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৯ জন হয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭২৩ জন এবং গ্রামের ৬০৬ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৪৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪ ও গ্রামের ৩ জন সংক্রমিত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ৬৫ জনের নমুনায় শহরের একজনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩২০ টি নমুনার মধ্যে শহরের একটিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়।
এদিকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১২, বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৫, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩০০, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৮৯, মেডিকেল সেন্টার হাসপতালে ২৮, এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ২৩, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৯ ও এন্টিজেন টেস্টে ৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নগরীর সাত ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে ৫৭০ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের একটি নমুনাও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষার জন্য যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ৪৭, চমেকে ১ দশমিক ৫৪ ও শেভরনে ০ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং চবি, এন্টিজেন টেস্ট, আরটিআরএল, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার এবং মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ ।