চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে নতুন ৩ জন আক্রান্ত

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ০ দশমিক ১৮ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি।
করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আজ পাঠানো রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর সরকারি-বেসরকারি দশ ল্যাবে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৬৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে নতুন শনাক্ত ৩ জনই শহরের বাসিন্দা। চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার কোথাও গতকাল করোনাভাইরাসের কোনো বাহক পাওয়া যায়নি। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ৪৪১ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৪ হাজার ১২৪ জন এবং গ্রামের ২৮ হাজার ৩১৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কেউ মারা যাননি। ফলে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩১ জনই রয়েছে। এর মধ্যে ৭২৩ জন শহরের এবং ৬০৮ জন গ্রামের বাসিন্দা।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৫৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা হয় ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে একজন জীবাণুবাহকও চিহ্নিত হননি। বেসরকারি ল্যাব এপিক হেলথ কেয়ারে ১২ জনের নমুনায় দুইজন পজিটিভ শনাক্ত হন। ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৪১০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের একজনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে।
এদিকে, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ২০, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৯, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ১, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৪৭, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২৪২, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৩৪, ল্যাব এইডে ১ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ২৬ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হয়। আট পরীক্ষাগার ও এন্টিজেন টেস্টে মোট ৬৮৩ নমুনার সবগুলোরই রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে গতকাল কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পাঠানো যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে এপিক হেলথ কেয়ারে ১৬ দশমিক ৬৬ ও  শেভরনে ০ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং বিআইটিআইডি, চমেকহা, চবি, আরটিআরএল, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, ল্যাব এইড ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।