চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত ৭ জন

জেলায় করোনাভাইরাসে নতুন ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের হার ০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এ সময় কোনো করোনা রোগির মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে এ সব তথ্য জানা যায়।
রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর আট ল্যাবে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ২২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নতুন ৭ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের ৪ ও দুই উপজেলার ৩ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে শহরের ৭৪ হাজার ১৮৮ ও গ্রামের ২৮ হাজার ৩৪১ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সীতাকু-ে ২ জন ও মিরসরাইয়ে ১ জন রয়েছেন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৩৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের একজন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ২৭ জনের নমুনার মধ্যে শহরের একজন শনাক্ত হন। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ২৮ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ২ জন পজিটিভ বলে জানানো হয়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩৪৬টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একটিতে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। বেসরকারি মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ২১ জনের নমুনায় শহরের ২ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ মিলেছে।
এ দিকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৪, বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৩, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ৩৮৩, এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ১০ ও ল্যাব এইডে একটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পাঁচ ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত ৪০১টি নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এ দিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, ল্যাব এইড ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ২৫, চমেকহা’য় ৩ দশমিক ৭০, এন্টিজেন টেস্টে ৭ দশমিক ১৪, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ০ দশমিক ২৯ এবং মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। অপর ল্যাবরেটরির মধ্যে চবি, আরটিআরএল, শেভরন, এপিক হেলথ কেয়ার ও ল্যাব এইডে আক্রান্তের হার পাওয়া যায় ০ শতাংশ।