চট্টগ্রামে করোনায় একজনের মৃত্যু

চট্টগ্রামে নতুন ৭৬ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এ সময় এক রোগীর মৃত্যু হয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল বুধবার সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৬৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ৭৬ জন বাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬২ জন এবং পাঁচ উপজেলার ১৪ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ১৪ জনের মধ্যে ফটিকছড়ি ও হাটহাজারীতে ৫ জন করে, সাতকানিয়ায় ২ জন এবং সীতাকুন্ডে ও পটিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৪ হাজার ১৮৫ জনে। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৬ হাজার ৭৬৪ জন ও গ্রামের ৭ হাজার ৪২১ জন।

গতকাল করোনায় একজনের মৃত্যু হওয়ায় জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৩৭১ জন। এর মধ্যে ২৭০ জন শহরের ও ১০১ জন গ্রামের। সুস্থ্যতার ছাড়পত্র দেয়া হয় ৪৫ জনকে। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩১ হাজার ৫৮৫ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৩৫৫ জন ও বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ্য হন ২৭ হাজার ২৩০ জন। হোম আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হন ১৬ জন ও ছাড়পত্র নেন ২৪ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৯২৪ জন।

উল্লেখ্য, তিনদিন পর চট্টগ্রামে করোনায় একজনের মৃত্যু হলো। সর্বশেষ ১৩ ফেব্রুয়ারি একজন করোনায় মারা যান। এছাড়া, গত ১৬ দিন ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা একশ’র নিচে রয়েছে। চলতি মাসে একবারই শতক পেরিয়ে যায়। এর আগে ১২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত একটানা ১৯ দিন করোনাভাইরাসের বাহক সংখ্যা একশ’র নিচে ছিল। করোনাকালের সর্বনি¤েœর রেকর্ডটিও এ মাসে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৮২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ৪ জনের রেজাল্ট পজিটিভ পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪২৯ জনের নমুনার মধ্যে ২৭ জন জীবাণুবাহক হিসেবে চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৬৩ জনের নমুনায় ১১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩৮টি নমুনার ১১টিতে করোনাভাইরাস মিলে। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে স্থাপিত আরটিআরএলে ২টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে ১টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।

বেসরকারি তিন ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ১৪১, ইম্পেরিয়ালে হাসপাতালে ৩৭ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে যথাক্রমে ১২, ৮ ও ২টি নমুনায় ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে। এদিন চট্টগ্রামের ৮৬ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৪৮ শতাংশ, চমেকে ৬ দশমিক ২৯, সিভাসু’তে ১৭ দশমিক ৪৬, চবি’তে ২৮ দশমিক ৯৫, আরটিআরএলে ৫০ শতাংশ, শেভরনে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ, ইম্পেরিয়ালে ২১ দশমিক ৬২ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১৮ দশমিক ১৮ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। তথ‌্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান