চট্টগ্রামে করোনায় একজনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৯

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন ৯ জন সংক্রমিত হয়েছেন। আক্রান্তের হার ০ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ সময়ে ১ জন মৃত্যুবরণ করেন।
চট্টগ্রাম জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাব, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর নয় ল্যাবে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৯ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬ জন এবং দুই উপজেলার উপজেলার ৩ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ১৭২ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৩ হাজার ৯৩৮ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ২৩৪ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ৩ জনের মধ্যে হাটহাজারীতে ২ জন ও সীতাকু-ে একজন রয়েছেন।
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত এক রোগি মারা গেছেন। ফলে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩২১ জন হয়েছে। এর মধ্যে ৭২১ জন শহরের ও ৬০০ জন গ্রামের।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৩৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয় ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে শহরের ২ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ৮৭ টি নমুনার মধ্যে একটিও পজিটিভ পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৮৩ টি নমুনায় গ্রামের একটিতে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ২৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। এন্টিজেন টেস্টে ১৩ নমুনার একটিও করোনায় আক্রান্ত মিলেনি। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৭ জনের নমুনায় কোনো পজিটিভ নেই।
বেসরকারি ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩০৭ ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩০৪ টি নমুনা পরীক্ষায় কোনো সংক্রমণের প্রমাণ মেলেনি। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৩৯ জনের নমুনার মধ্যে শহর ও গ্রামের একজন করে আক্রান্ত চিহ্নিত হন। এপিক হেলথ কেয়ারে ৩০ টি নমুনার মধ্যে কোনো বাহক পাওয়া না গেলেও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৪৪ নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ৩ ও গ্রামের একটিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়।
কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো চট্টগ্রামের একমাত্র নমুনাটির ফলাফল নেগেটিভ আসে। এদিন মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৫৯ শতাংশ, চমেকহা, চবি, আরটিআরএল ও এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ, সিভাসু’তে ১ দশমিক ২০, শেভরন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ০ শতাংশ, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১ দশমিক ৪৩ এবং মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ।