চট্টগ্রামে করোনায় নতুন আক্রান্ত ২৯০ জন

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৯০ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সংক্রমণ হার ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ। এ সময় করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, নগরীর সাতটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ২ হাজার ৯২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ২৯০ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৫৪ জন এবং ১৩ উপজেলার ৩৬ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৩৯ হাজার ৯৯৬ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৩১ হাজার ৭৯৫ জন শহরের ও ৮ হাজার ২০১ জন গ্রামের। উপজেলায় আক্রান্তদের মাঝে সর্বোচ্চ রাউজানে ১০ জন, পটিয়ায় ৫ জন, আনোয়ারায় ৪ জন, বাঁশখালী, লোহাগাড়া ও বোয়ালখালীতে ৩ জন করে, সীতাকু-ে ২ জন, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, সন্দ্বীপ, চন্দনাইশ, ও সাতকানিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন।
গতকাল করোনায় আক্রান্ত কেউ মারা যাননি। জেলায় মৃতের সংখ্যা ৩৮৬ জনই রয়েছে। এর মধ্যে ২৮৩ জন শহরের ও ১০৩ জন গ্রামের। সুস্থতার ছাড়পত্র দেয়া হয় ৩৯ জনকে। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩৪ হাজার ৪ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৪ হাজার ৫৯৯ জন ও বাসায় চিকিৎসায় সুস্থ হন ২৯ হাজার ৪০৫ জন। হোম আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হন ৩০ জন ও ছাড়পত্র নেন ২০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ১৭৯ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ১৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে ৫০ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। এরা সবাই শহরের বাসিন্দা। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৭৬২ জনের নমুনায় গ্রামের ৩ জনসহ ৩৫ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৪টি নমুনার ৭টিতে করোনার ভাইরাস পাওয়া যায়। এরা সবাই গ্রামের বাসিন্দা। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৫০ জনের নমুনায় গ্রামের ১০ জনসহ ৬৭ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন।
নগরীর বেসরকারি তিন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ৯ জনসহ ৪৩ জন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৭৭ জনের নমুনায় গ্রামের ১ জনসহ ৬৮ জন এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৮ নমুনায় গ্রামের ২ জনসহ ১৬ জন করোনায় আক্রান্ত পাওয়া যায়।
চট্টগ্রামের ২০৬ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ৪টি ছাড়া বাকী সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে এদিন কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে চমেকে ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৪ দশমিক ৫৯, চবি’তে ২৯ দশমিক ১৬, সিভাসু’তে ২৬ দশমিক ৮০, শেভরনে ১২ দশমিক ৯৫, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৮ দশমিক ৪২, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৪২ দশমিক ১০ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।